একটি চারচাকা গাড়ি থেকে ধৃতকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করে বর্ধমান (Purba Bardhaman) থানা পুলিশ। এতো বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র ওই ব্যক্তি কেন মজুত করেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ (Police)।ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্ধমান (Purba Bardhaman) শহরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

রবিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ (Police) বর্ধমান (Purba Bardhaman ) শহরের নবাবহাট এলাকায় হানা দেয়। এর পরেই ওই ব্যক্তি দুটি আগ্নেয় অস্ত্র (arms and explosive) সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে । ধৃত ব্যক্তির কাছ থেকে একটি 8 MM পিস্তল ও একটি ওয়ান সর্টার গান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একটি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Bhuvneshwar Kumar's daughter first picture: ভুবনেশ্বর কুমার নিজেই শেয়ার করলেন সদ্যোজাতর ছবি, খুদের ছবি ভাইরাল

ধৃত ব্যক্তির নাম প্রভাত চন্দ্র। তার বাড়ি বর্ধমানের আমবাগান রেল কোয়ার্টার এলাকায়। পুলিশ ধৃতকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে তার বাড়ি থেকে নয়টি তাজা বোমা (arms and explosive) উদ্ধার করে। ধৃতকে সাতদিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালতে পেশ করে বর্ধমান থানার পুলিশ।

Viral News: 'বাপের বয়সী' পুরুষকে বিয়ে করে চুটিয়ে সংসার, 25 year-র ছোট-বড় এই দম্পতি

পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, বর্ধমান থানার পুলিশ কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল নবাবহাট এলাকায় এক ব্যক্তি রয়েছে যার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র আছে। পুলিশের বিশেষ টিম সেই ব্যক্তি কে ধরে ফেলে। তার কাছ থেকে দুটি বন্দুক উদ্ধারের পাশাপাশি ধৃতের বাড়ি থেকেও নয়টি বোমা পাওয়া যায়।

এই ব্যক্তির কাছে এতো পরিমান অস্ত্র ও বোমা (arms and explosive) কোথা থেকে এলো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সে কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল কি না জানতে তাকে সাতদিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে বর্ধমান জেলা আদালতে। বোমগুলি নিষ্ক্রিয় করতে বোম স্কোয়ার্ড খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সোর্স মারফত নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয়েছিল। ওই ব্যক্তি কোনও অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এই বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। আবার এই সব বোমা আগ্নেয়াস্ত্র অন্যত্র পাচারের পরিকল্পনাও থেকে থাকতে পারে। তাই তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ব্যক্তি বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে মজুত করেছিল তা জানার জন্য হেফাজতে নিয়ে ধৃতকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসা বাদ করা হবে। মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখে তার সঙ্গে কার কার যোগাযোগ ছিল তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বিজেপির অভিযোগ, ধৃত দুষ্কৃতী শাসক দল তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। পুর ভোট আসন্ন। এখানে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরির জন্য এই বোমা আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি করা হচ্ছে। শান্তির পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশের উচিত ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে সব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। এর সঙ্গে তৃনমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours