বালির নিখোঁজ দুই গৃহবধূর ঘটনায় নাটকীয় মোড়। অবশেষে খোঁজ মিলল তাঁদের। আপাতত দুই গৃহবধূর ঠিকানা আরব সাগর তীরে বাণিজ্য নগরীর মুম্বই। তদন্তে অন্তত এমনটাই জানা যাচ্ছে।
ঠিক কী ঘটেছে?
ছয় মাস আগে বালি আনন্দনগর সাঁপুইপাড়া এলাকায় একতলা বাড়ির সংস্কারে কাজ করতে এসেছিল দুই রাজমিস্ত্রি।
কীভাবে এগিয়েছে তদন্ত?
নিখোঁজ দু'জনের মোবাইল ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পেরেছে প্রথমে মুর্শিদাবাদ ও সেখান থেকে তাঁরা মুম্বই চলে গিয়েছেন। মুম্বইয়ের ঠিক কোন জায়গায় তাঁরা রয়েছেন তাই এখন জানার চেষ্টা করছে নিশ্চিন্দা থানা। তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে গত ১৫ই ডিসেম্বর বুধবার দুই গৃহবধূর এক জনের মোবাইলে একটি ফোন আসে। সেই ফোন কলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে মুর্শিদাবাদ চলে যাওয়ার কথা বলা হয়। কারা গৃহবধূর মোবাইলে সেই ফোন করে সেটা খুঁজতে গিয়েই পুলিশ দুই রাজমিস্ত্রির খোঁজ পায়। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে ওই দুই রাজমিস্ত্রিই দুই গৃহবধূকে নিয়ে চলে যায়। পুলিশের ধারণা প্রথমে শ্রীরামপুরে সাক্ষাত্ করে সেখান থেকে ৫ জনেই মুর্শিদাবাদ চলে যায়। এর পর সেখান থেকে চলে যায় মুম্বই। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক সোমবার জানালেন, (বড়বউ) অনন্যা কর্মকার ও (ছোটবউ)রিয়া কর্মকার নামে বালির দুই গৃহবধূ রিয়ার ৭ বছরের ছেলেকে নিয়ে স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ঠিক কোথায় তাঁরা রয়েছেন তার খোঁজ করছে পুলিশ। কীভাবে, কখন, কোথায় তারা গিয়েছে তা বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে।
রাজমিস্ত্রির সঙ্গে প্রেম করে দুই গৃহবধূ বাড়ি ছাড়লেন অথচ পরিবারের সদস্যরা তা ঘুণাক্ষরেও টের পেলেননা এই দিকটাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। পরিবারের সদস্যরা কী বিষয়টি জানতেন না, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শুধুই কী দুই রাজমিস্ত্রি প্রেমালাপ করে বাড়ি থেকে দুই গৃহবধূকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে চলে গেলেন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে, সে সব দিকই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সংক্ষেপে পুরো ঘটনা আরও একবার
গত ১৫ই ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরোনোর পর সোমবার সন্ধে পর্যন্ত বালির আনন্দনগরের বাসিন্দা দুই গৃহবধূ ও এক শিশু বাড়ি ফেরেনি। শ্রীরামপুরে শীতের পোশাক কিনতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। তারপর থেকে আর তাঁদের খোঁজ মেলেনি। গৃহবধূ অনন্যা কর্মকার, রিয়া কর্মকার ও তার সাত বছরের ছেলে আয়ূস কর্মকারের অসহায় বাড়ির লোকেরা কখনও থানা কখনও বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়ি দৌড়াদৌড়ি করেছেন। কিন্তু এত দৌড়াদৌড়ি করেও কোনও খবর পাননি।
সোমবার প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি। পরিবারের তরফে জানানো হয় পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত করুক।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours