ফের লাগামছাড়া গতিতে করোনা সংক্রমণ (Covi 19 in Europe) ছড়িয়ে পড়ছে ইংল্যান্ড ও আমেরিকা-সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। যে সংক্রমণের পিছনে কাজ করছে করোনার ওমিক্রন প্রজাতি (Omicron Variant)। শুক্রবার এক দিনে ব্রিটেনে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৯৫ হাজারে।

লন্ডন ও স্কটল্যান্ডে এখন ডেল্টার সংক্রমণকে অতিক্রম করে গিয়েছে ওমিক্রনের সংক্রমণ। বৃহস্পতিবারে যেখানে দৈনিক ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬৯১ সেখানে শুক্রবার দৈনিক ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২০১। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৬৫ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি আছেন। যদিও এই প্রজাতির সংক্রমণে তেমন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে না। ব্রিটেনে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা সামান্য কমে হয়েছে ১১১।

ভয়ানক অবস্থা আমেরিকাতেও। সেখানেও ওমিক্রনের সংক্রমণ মাথাচাড়া দিয়েছে। সামনেই শীতের ছুটি, তার মুখে এই বিপুল সংক্রমণ নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে মার্কিন প্রশাসনের। আমেরিকার সরকারের তরফ থেকে সকলকে টিকা নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। প্রশাসনিক কর্তারা বলছেন, যেন ২০২০ সালের শেষের মতো একই চিত্র তৈরি হচ্ছে ২০২১ সালেও। ইতিমধ্যে এনএফএল-এর ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে করোনা সংক্রমণের কারণে। একাধিক বড়দিন সঙ্গীতানুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। ইতিমধ্যে আমেরিকার ৩৮টি প্রদেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। ব্রিটেনের মতো আমেরিকাতেও ডেল্টা প্রজাতির থেকেও অত্যাধিক শক্তিতে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন ভাইরাস। নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে ওমিক্রনের অত্যাধিক প্রভাব দেখা যাচ্ছে, মোট আক্রান্তের ১৩ শতাংশই আক্রান্ত হচ্ছেন ওমিক্রন প্রজাতিতে।

এ দিকে শুক্রবার ফরাসি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, জার্মানি ও ডেনমার্ক করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির দেশ। এসেই কারণে ওই দেশগুলি থেকে আগতদের কোয়ারেন্টিন করার বিষয়ে নির্দিষ্ট নিয়মও করেছে ফ্রান্স। এ ছাড়াও সে দেশে নরওয়ে, লেবানন থেকে আগত যাত্রীদেরও কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours