কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনাকে কি ফের উস্কে দিল ওমিক্রন? নভেম্বর থেকে করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের সংক্রমণ আছড়ে পড়েছে দেশে। একের পর এক রাজ্যে সংক্রমিতের খোঁজ মিলছে। দেশে এখন ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। ১১টি রাজ্যে জারি হয়েছে সতর্কতাকেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেছেন, ডেল্টা প্রজাতির থেকেও দ্রুত সংক্রমিত হতে পারে ওমিক্রন। এখনও অবধি ওমিক্রনের সংক্রমণে মৃদু উপসর্গ দেখা গেলেও পরবর্তী পর্যায়ে কী হতে চলেছে তা এখনও অজানা। তাই চিন্তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় করোনার যে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল তা ফের লাগু না হলে তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম চিহ্নিত হওয়া ওমিক্রনকে গত ২৬ নভেম্বর 'ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন' বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। মাত্র চার সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বের ৯০টি দেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১১টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ওই স্ট্রেন। আক্রান্ত হয়েছেন ১০৮ জন। শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র (৪০ জন)। তার পরেই দিল্লি (২২ জন)। রাজস্থানে আক্রান্ত ১৭ জন, কর্নাটক, তেলঙ্গানায় ৮, পশ্চিমবঙ্গেও একজনের শরীরে ওমিক্রনের সংক্রমন ধরা পড়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, ওমিক্রন ঠেকাতে এখনই কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে, যেমন-মাস্ক বাধ্যতামূলক, রাস্তাঘাটে, জনবহুল জায়গায় সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মেনে চলতে হবে, আপাতত ভ্রমণ বন্ধ রাখতে হবে, কোনও রকম ভিড়-জমায়েত চলবে না। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) ডিরেক্টর জেনারেল ড. বলরাম ভার্গব মনে করছেন, ওমিক্রনে আক্রান্তদের অধিকাংশের মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে বলে দেশবাসী গা-ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগেও ঠিক এমনটাই হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রিটেনে আগে ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণ ছিল। এখন সেখানেই ওমিক্রন ছেয়ে গেছে। খুব দ্রুত জিনের বিন্যাস বদলাতে পারে এই ভাইরাল ভ্যারিয়ান্ট। অন্যান্য কোভিড ভ্যারিয়ান্টের চেয়ে ৭০ গুণ দ্রুত গতিতে ছড়াতে পারে ওমিক্রন। প্রথম ভাইরাসের কোনও প্রজাতির সংক্রমণ শুরু হলে উপসর্গ মাঝারিই হয়, ধীরে ধীরে সংক্রমণের তেজ বাড়ে। কাজেই কোভিড বিধই না মানলে সংক্রমণের ঢেউ আরও ভয়ঙ্কর হয়ে আছড়ে পড়তে পারে দেশে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours