ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের দীর্ঘতম আগ্নেয়গিরি হলো সেমেরু। শনিবার দুপুর থেকে ফের জেগে উঠেছে এটি। এই আগ্নেয়গিরি ফের জেগে ওঠার কারণে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। ইতিমধ্যেই শেষ খবর পাওয়া অবধি মানুষ প্রাণপণ রেখে পালানোর চেষ্টার পাশাপাশি ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।শনিবার দুপুর বেলা এই আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠার পর গোটা এলাকা ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ঢাকা পড়ে যায়। আকাশের সেই ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। লাগাতার ধোঁয়া এবং ছাই ও আগুনের দলা পাকানো মেঘ নির্গত হতে থাকে জ্বালামুখ থেকে। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কের প্রহর গুনতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পরিস্থিতি দেখে তড়িঘড়ি নিকটবর্তী পূর্ব জাভা প্রদেশের গ্রামগুলির বাসিন্দারা গ্রাম ছাড়তে শুরু করেন। সব মিলিয়ে এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা এবং ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ওই এলাকায়। ইতিমধ্যেই বহু মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি অনেকেই আহত হলেও বাকিদের দ্রুত উদ্ধারের জন্য ইন্দোনেশিয়া বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর দ্রুত নিজেদের কাজ শুরু করেছে
ইন্দোনেশিয়া সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারিভাবে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দুজনের দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে এবং বাকিদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে। এর পাশাপাশি আহতের সংখ্যা শতাধিক। বাকি স্থানীয়দের মধ্যে নয় শতাধিক মানুষকে এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, 'রিং অব ফায়ার' তথা প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলার অন্তর্ভুক্ত ইন্দোনেশিয়ায় বর্তমানে ১৩০টির বেশি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এই সেমেরু আগ্নেয়গিরি তে যেখানে এমন অগ্ন্যুত্পাতের কারণ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সেই আগ্নেয়গিরিতে গত জানুয়ারি মাসেও অগ্নুত্পাত হয়েছিল। কিন্তু সেবার কোনো হতাহতের খবর ছিল না।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours