বেশকিছুদিন ধরেই নিখোঁজ যুবক। পরিবারের সদস্যরা তন্ন-তন্ন করে খুঁজেও পায়নি বাড়ির ছেলেকে। এরপর আর উপায় না দেখে শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয় তাঁরা। প্রায় দশদিন হতে চলল খোঁজ নেই তাঁদের ছেলের। আদৌ বাড়ির ছেলে বেঁচে আছে নাকি…। ঘটনার জোর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।কী হয়েছিল?
সেই ১ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন রাহুল ঝাঁ (১৮)। রাহুল খড়দহের জয়প্রকাশ কলোনির বাসিন্দা । পরিবার সূত্রের খবর, ভোটার কার্ড করবে বলে রাহুল বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর দশ দিন কেটে গেলেও বাড়ি ফেরেনি সে। এরপরই থানায় অভিযোগ জানায় রাহুলের বাড়ির লোকেরা।
পরে খড়দহ থানার পুলিশ রাহুলের ফোন তল্লাশি করে তার দুই বন্ধু বাপ্পা ও সুশান্তকে আটক করে। পুলিশ ও পরিবার উভয়ের দাবি যে, ত্রিকোণ প্রেমের কারণেই খুন হতে হয়েছে ওই যুবককে।
রাহুলের মা শীলা দেবী ঝাঁ বলেন, “আমার ছেলে সারাদিন বাপ্পার বাড়িতেই থাকত। শুধু খাওয়ার সময় বাড়িতে আসত নয়ত ওদের বাড়িতেই সারাদিন কাটাত। গত ১ তারিখ বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় বলল পুরোসভায় যাচ্ছি ভোটার কার্ড করাব বলে। তারপর আর কোনও খবর পেলাম না ওর। জানি না আমার ছেলের কী হয়েছে।”
অন্যদিকে, একনাগাড়ে কেঁদেই চলেছে রাহুলের বোন নিতু দাস। তিনি বলেন, “আমাদের মনে হচ্ছে বাপ্পাই আমার ভাইকে হয়ত মেরে ফেলে দিয়েছে। পুলিশ নিজেদের তদন্ত করছে। প্রমাণ অনুযায়ী কাজ করছে। কিন্তু ওনারাও সন্দেহ করছে যে রাহুলকে মেরে ফেলা হয়েছে। ”
তবে রাহুলের দেহ খুন করে কোথাও গুম করে রেখেছে কিনা তদন্ত করছে খড়দহ থানার পুলিশ। এদিকে, রাহুলের দাদা রাকেশ ফোনের মাধ্যমে জানতে পেরেছে রাহুল কে খুন করে কোথাও ফেলে দিয়েছে বাপ্পার দলবল। তদন্ত এখনও জারি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই জেলায় একের পর এক গৃহবধূ খুনের খবর সামনে আসছিল। শ্যামনগরে নেশার টাকা না মেলায় গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, নেশার টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে স্বামী । এরপর ছেলের সামনেই মাকে খুন করে ঝুলিয়ে দিল সে। ঘটনার পর পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত স্বামীকে।
জগদ্দল থানার শ্যামনগরের বিবেকনগর। মৃতার নাম রীনা মণ্ডল(৩৮)। অভিযুক্ত স্বামী শম্ভু মণ্ডল। পেশায় সে দিনমজুর। মৃতার বোন লতা রায়ের অভিযোগ, জুয়া খেলা ও মদ্যপানের জন্য প্রতিদিন স্ত্রীর কাছে টাকা চাইত শম্ভু। টাকা চাওয়া নিয়ে নিত্যদিন পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকতো। এরপর ঘটনার দিন ঝগড়া শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। মৃতার বোনের অভিযোগ, সেই সময় তাঁর দিদিকে মারধর করে অভিযুক্ত জামাইবাবু। সাত বছরের ভাগ্নার সামনেই দিদিকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেয় সে ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours