মঙ্গলবার গঙ্গাসাগরে যান মুখ্যমন্ত্রী।
পুজো দিয়েছেন কপিলমুনির আশ্রমে। আজ অর্থাত্ বুধবার সাগরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠক করলেন তিনি। সেখানেই আলোচনা করলেন রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে। ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ নেন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির। ওমিক্রন থেকে বাঁচতে প্রত্যেককে সতর্ক হওয়ার বার্তা দেন। এরপরই মমতা বলেন, 'করোনার তৃতীয় ঢেউ এসে গিয়েছে। যদি স্কুলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে সেক্ষেত্রে ফের বন্ধ করা হতে পারে স্কুল। একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে কলেজ-সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়েও
এদিন বৈঠকে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের কাছে কলকাতার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলাদা ভাবে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই পরিস্থিতি বিবেচনা করে কনটেনমেন্ট জোন করার পরামর্শ দেন। তবে বছরের শেষ ও নতুন বছরের শুরুতে রাজ্যবাসীর বিভিন্ন প্ল্যান থাকে। সেই কারণে ৩ জানুয়ারি থেকে কনটেনমেন্ট জোন করার কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি প্রয়োজনে ফের অফিস-কাছারির ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর দেওয়ার কথাও বলেন। প্রয়োজনে লোকাল ট্রেন নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে গঙ্গাসাগর মেলার আগে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওমিক্রন। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেল্টার থেকে ৩ গুণ বেশি সংক্রমণ ক্ষমতা ধরে করোনার এই অবতার। এখনও পর্যন্ত ১০৯টি দেশে ছড়িয়েছে এই স্ট্রেন। এই মুহূর্তে ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮১। যার ফলে রাজ্যগুলির জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
সেন্ট নিকোলাসের প্রকৃত চিত্রটি ছিল এক বিশপের আলখাল্লা পরিচিত সন্তের চিত্র। কিন্তু আজকের সান্টাক্লজ সাধারণত হন কোনো স্থূলকায়, হাস্যমুখর এবং সাদা-দাড়িবিশিষ্ট ব্যক্তি; তার পরনে থাকে সাদা কলার ও কাফযুক্ত লাল কোট, সাদা কাফযুক্ত লাল ট্রাউজার্স, কালো চামড়ার বেল্ট ও বুটজুতো। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বিশিষ্ট ক্যারিকেচারিস্ট ও রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট টমাস নাস্টের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সান্টাক্লজের এই রূপটি জনপ্রিয়তা লাভ করে।[৩][৪][৫] এই রূপকল্পের প্রচার ও তার জনপ্রিয়তার প্রসারে সহায়তা করে একাধিক গান, রেডিও, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে সান্টাক্লজের রূপটি আমেরিকান সান্টার মতো হলেও এই অঞ্চলে তিনি ফাদার খ্রিষ্টমাস নামেই সমধিক পরিচিত।
সান্টাক্লজ-সংক্রান্ত একটি কিংবদন্তি অনুসারে, তিনি সুদূর উত্তরে এক চিরতুষারাবৃত দেশে বাস করেন। আবার সান্টাক্লজ-সংক্রান্ত আমেরিকান উপাখ্যান অনুসারে, তার নিবাস উত্তর মেরুতে। অন্যদিকে ফাদার খ্রিষ্টমাসের নিবাস মনে করা হয় ফিনল্যান্ডের, ল্যাপল্যান্ড প্রদেশের কোরভাটুনটুরি পার্বত্য অঞ্চলে। সান্টাক্লজ তার স্ত্রী মিসেস ক্লজ, অসংখ্য জাদুক্ষমতাসম্পন্ন এলফ, এবং আট-নয়টি উড়ন্ত বলগাহরিণের সঙ্গে বাস করেন। অপর একটি উপাখ্যান অনুসারে, সান্টাক্লজ সারা বিশ্বের শিশুদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে তাদের আচরণ ("দুষ্টু" ও "লক্ষ্মী") অনুযায়ী দুই ভাগে ভাগ করেন। তারপর খ্রিষ্টমাস ইভের রাতে তিনি লক্ষ্মী ছেলেমেয়েদের খেলনা, লজঞ্চুস ও অন্যান্য উপহার দেন এবং কখনও কখনও দুষ্টু ছেলেমেয়েদের কয়লা দিয়ে যান। এই কাজ তিনি সম্পন্ন করেন তার কারখানায় কর্মরত এলফ ও তার স্লেজগাড়ির বাহক বলগাহরিণগুলির মাধ্যমে।[৬][৭]
অন্যদিকে, শিশুদের সান্টাক্লজ-সংক্রান্ত বিশ্বাসগুলি শিক্ষা দেওয়ার বিপক্ষেও কেউ কেউ মত প্রকাশ করেন। কোনো কোনো খ্রিষ্টান মনে করেন, সান্টা সংস্কৃতি ধর্মীয় উৎস ও বড়দিনের উদ্দেশ্য থেকে জনসাধারণকে বিচ্যুত করছে। অন্যান্য সমালোচকদের মতে, সান্টাক্লজ-সংক্রান্ত উপকথাটি একটি সুবিন্যস্ত মিথ্যা; এবং যেকোনো পিতামাতার পক্ষেই তাদের ছেলেমেয়েদের এই মিথ্যা অস্তিত্বে বিশ্বাস স্থাপনে শিক্ষাদান অনৈতিক।.[৮] আবার কেউ কেউ সান্টাক্লজকে বড়দিনের ছুটির বাণিজ্যকরণের প্রতীক হিসেবে তার বিরোধিতা করে থাকেন।[৯]
এই দিনটির আবার বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন ক্রিসমাস, খ্রিস্টমাস,শীতকালীন পাস্কা
প্রকৃতিগতভাবে একটি খ্রিষ্টীয় ধর্মানুষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও, একাধিক অ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ও মহাসমারোহে বড়দিন উৎসব পালন করে।[১][৬] এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে উৎসবের আয়োজনে প্রাক-খ্রিষ্টীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ বিষয়ভাবনার সমাবেশও দেখা যায়। উপহার প্রদান, সংগীত, বড়দিনের কার্ড বিনিময়, গির্জায় ধর্মোপাসনা, ভোজ, এবং বড়দিনের বৃক্ষ, আলোকসজ্জা, মালা, মিসলটো, যিশুর জন্মদৃশ্য, এবং হলি সমন্বিত এক বিশেষ ধরনের সাজসজ্জার প্রদর্শনী আধুনিককালে বড়দিন উৎসব উদ্যাপনের অঙ্গ। কোনো কোনো দেশে ফাদার খ্রিষ্টমাস (উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও আয়ারল্যান্ডে সান্টাক্লজ) কর্তৃক ছোটোদের জন্য বড়দিনে উপহার আনার উপকথাটি বেশ জনপ্রিয়।[৭]
উপহার প্রদানের রীতিটিসহ বড়দিন উৎসবের নানা অনুষঙ্গ খ্রিষ্টান ও অ-খ্রিষ্টানদের অর্থনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই উৎসব উপলক্ষে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয়ের একটি বিশেষ মরসুম চলে। বিগত কয়েকটি শতাব্দীতে বিশ্বে বিভিন্ন অঞ্চলে বড়দিনের অর্থনৈতিক প্রভাবটি ধীরে ধীরে প্রসারিত হতে দেখে গেছে। ভারত ও বাংলাদেশে বড়দিন একটি রাষ্ট্রীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়।
আকাদেমি বিদ্যার্থী বাংলা অভিধানে যিশু খ্রিষ্টের জন্মোৎসব উৎসবটিকে বাংলায় বড়দিন আখ্যা দেওয়ার কারণটির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলা হয়েছে: "২৩ ডিসেম্বর থেকে দিন ক্রমশ বড়ো এবং রাত ছোটো হতে আরম্ভ করে"।[৯]
এটিকে বাংলায় "বড়দিন" নামকরণের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন,
"মর্যাদার দিক থেকে এটি একটি বড়দিন।"
"যিশু যেহেতু বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য ধর্ম ও দর্শন দিয়ে গেছেন, বিশ্বব্যাপী বিশাল অংশের মানুষ তার দেয়া ধর্ম ও দর্শনের অনুসারী। যিনি এতো বড় ধর্ম ও দর্শন দিলেন ২৫শে ডিসেম্বর তার জন্মদিন। সে কারণেই এটিকে বড়দিন হিসেবে বিবেচনা করে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ।"
তিনি আরো বলেন,
"আঠারো ও উনিশ শতকে ইউরোপীয়রা এসে এ অঞ্চলে খ্রিস্ট ধর্ম প্রচার করে। যারা ধর্মটি গ্রহণ করেছেন তাদের কাছে এটি আরও মহিমান্বিত বিষয়।"
"বাঙালি যারা খ্রিস্টান তাদের অধিকাংশই এই ধর্মে রূপান্তরিত হয়েছেন। তারা ভাবেন যিশু এমন একজন যিনি তাকে ধর্ম দিয়েছেন। তাই তার জন্মদিনটাই তারা সব আবেগ দিয়ে পালন করেন। এ কারণেই দিনটি তাদের কাছে বড়দিন হিসেবে বিবেচিত।"[১০]
বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রেই বড়দিন একটি প্রধান উৎসব তথা সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। এমনকি অ-খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ কয়েকটি দেশেও মহাসমারোহে বড়দিন উদযাপিত হতে দেখা যায়। কয়েকটি অ-খ্রিষ্টান দেশে পূর্বতন ঔপনিবেশিক শাসনকালে বড়দিন উদ্যাপনের সূত্রপাত ঘটেছিল। অন্যান্য দেশগুলিতে সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান জনসাধারণ অথবা বৈদেশিক সংস্কৃতির প্রভাবে বড়দিন উদ্যাপন শুরু হয়। তবে চীন (হংকং ও ম্যাকাও বাদে), জাপান, সৌদি আরব, আলজেরিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, ইরান, তুরস্ক ও উত্তর কোরিয়ার মতো কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দেশে বড়দিন সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয় না।
বড়দিনের আলোকসজ্জাঅধিকাংশ দেশে প্রতি বছর বড়দিন পালিত হয় ২৫ ডিসেম্বর তারিখে। তবে রাশিয়া, জর্জিয়া, মিশর, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন ও সার্বিয়ার মতো কয়েকটি ইস্টার্ন ন্যাশানাল চার্চ ৭ জানুয়ারি তারিখে বড়দিন পালন করে থাকে। কারণ এই সকল চার্চ ঐতিহ্যশালী জুলিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে থাকে; জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের ২৫ ডিসেম্বর প্রামাণ্য জর্জিয়ান ক্যালেন্ডারের ৭ জানুয়ারি তারিখে পড়ে।
সারা বিশ্বে, সাংস্কৃতিক ও জাতীয় ঐতিহ্যগত পার্থক্যের পরিপ্রেক্ষিতে বড়দিন উৎসব উদ্যাপনের রূপটিও ভিন্ন হয়ে থাকে। জাপান ও কোরিয়ার মতো দেশে খ্রিষ্টানদের সংখ্যা আনুপাতিকভাবে কম হলেও বড়দিন একটি জনপ্রিয় উৎসব। এই সব দেশে উপহার প্রদান, সাজসজ্জা, ও বড়দিনের বৃক্ষের মতো বড়দিনের ধর্মনিরপেক্ষ দিকগুলি গৃহীত হয়েছে।
যিশুর জন্মোৎসবসম্পাদনা
মূল নিবন্ধসমূহ: অ্যানানসিয়েশন, যিশুর জন্ম ও শিশু যিশু
ধর্মীয় উৎসব উদ্যাপন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য দেখুন: বড়দিনের পূর্বসন্ধ্যা
শিশু যিশুর বন্দনা (Adorazione del Bambino) (১৪৩৯-৪৩); ফ্লোরেনটাইন চিত্রকর ফ্রা অ্যাঞ্জেলিকো কৃত ম্যুরাল
খ্রিষ্টধর্মে বড়দিন হল যিশুর জন্মোৎসব। খ্রিষ্টানদের বিশ্বাস অনুযায়ী, আদি বাইবেলর ত্রাণকর্তা-সংক্রান্ত একাধিক ভবিষ্যদবাণীতে বলা হয়েছে যে কুমারী মেরির গর্ভে তাঁদের মসিহা বা ত্রাণকর্তার জন্ম হবে। নূতন নিয়ম বা নূতন বাইবেলের মথিলিখিত সুসমাচার (মথি ১: ১৮ – ২: ১২) এবং লূকলিখিত সুসমাচার (লূক ১: ২৬ – ২: ৪০)-এ বর্ণিত যিশুর জন্মকাহিনী বড়দিনের উৎসবের মূলভিত্তি। এই উপাখ্যান অনুসারে, স্বামী জোসেফের সাহচর্যে বেথলেহেম শহরে উপস্থিত হয়ে মেরি যিশুর জন্ম দেন। জনপ্রিয় ধারণা অনুযায়ী, একটি আস্তাবলে গবাদি পশু পরিবৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন যিশু। যদিও বাইবেলের উপাখ্যানে আস্তাবল বা গবাদি পশুর কোনো উল্লেখই নেই। যদিও লূকলিখিত সুসমাচারে (লূক ২: ৭) একটি যাবপাত্রের উল্লেখ আছে: "আর তিনি আপনার প্রথমজাত পুত্র প্রসব করিলেন, এবং তাঁহাকে কাপড়ে জড়াইয়া যাবপাত্রে শোয়াইয়া রাখিলেন, কারণ পান্থশালায় তাঁহাদের জন্য স্থান ছিল না।" যিশুর জন্ম-সংক্রান্ত প্রথম দিকের চিত্রগুলিতে গবাদি পশু ও যাবপাত্র পরিবৃত একটি গুহায় যিশুর জন্মদৃশ্য দর্শানো হয়েছে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, এটি বেথলেহেমের চার্চ অফ দ্য নেটিভিটির অভ্যন্তরে। এক স্বর্গদূত বেথলেহেমের চারিপার্শ্বস্থ মাঠের মেষপালকদের যিশুর জন্ম সম্বন্ধে অবহিত করেন। এই কারণে তাঁরাই সেই দিব্য শিশুকে প্রথম দর্শন করার সৌভাগ্য অর্জন করেন।[১১]
অনেক খ্রিষ্টানই মনে করেন, যিশুর জন্ম আদি বাইবেলের ত্রাণকর্তা-সংক্রান্ত ভবিষ্যদবাণীগুলিকে পূর্ণতা দেয়।[১২] মথিলিখিত সুসমাচার অনুসারে, কয়েকজন ম্যাজাই (জ্যোতিষী) স্বর্ণ, গন্ধতৈল ও ধূপ নিয়ে শিশুটিকে দর্শন করতে যান। কথিত আছে, একটি রহস্যময় তারা তাঁদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায়। সাধারণভাবে বেথলেহেমের তারা নামে পরিচিত এই তারাটি ছিল প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে ইহুদিদের রাজার জন্মবার্তার ঘোষক।[১৩] ম্যাজাইদের আগমনের স্মরণে পালিত হয় ৬ জানুয়ারির এপিফেনি উৎসব। কোনো কোনো চার্চে এই ৬ জানুয়ারিতেই আনুষ্ঠানিকভাবে বড়দিন উৎসব সমাপ্ত হয়।
খ্রিষ্টানরা নানাভাবে বড়দিন উদ্যাপন করে থাকে। এগুলির মধ্যে বর্তমানে গির্জার উপাসনায় যোগ দেওয়া সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যতম জনপ্রিয় প্রথা বলে বিবেচিত হয়। এছাড়াও রয়েছে অন্যান্য বিভিন্ন উপাসনা পদ্ধতি ও জনপ্রিয় রীতিনীতি। বড়দিনের পূর্বে যিশুর জন্মোৎসব উপলক্ষে ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চ নেটিভিটি উপবাস পালন করে থাকে; অন্যদিকে পাশ্চাত্য খ্রিষ্টধর্মে অধিকাংশ চার্চে অ্যাডভেন্ট পালন করা হয়। বড়দিনের সর্বশেষ প্রস্তুতিটি নেওয়া হয় বড়দিনের পূর্বসন্ধ্যায়।
বড়দিন উৎসব পর্বের অন্যতম অঙ্গ হল গৃহসজ্জা ও উপহার আদানপ্রদান। কোনো কোনো খ্রিষ্টীয় শাখাসম্প্রদায়ে ছোটো ছেলেমেয়েদের দ্বারা খ্রিষ্টের জন্মসংক্রান্ত নাটক অভিনয় এবং ক্যারোল গাওয়ার প্রথা বিদ্যমান। আবার খ্রিষ্টানদের কেউ কেউ তাঁদের গৃহে পুতুল সাজিয়ে খ্রিষ্টের জন্মদৃশ্যের ছোটো প্রদর্শনী করে থাকেন। এই দৃশ্যকে নেটিভিটি দৃশ্য বা ক্রিব বলে। এই ধরনের প্রদর্শনী উৎসবের মুখ্য আকর্ষণ হয়ে ওঠে। কোথাও কোথাও লাইভ নেটিভিটি দৃশ্য ও ট্যাবলো ভাইভ্যান্টও অনুষ্ঠিত হয়; এই জাতীয় অনুষ্ঠানে অভিনেতা ও জন্তুজানোয়ারের সাহায্যে যিশুর জন্মদৃশ্যের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়।[১৪]
চিত্রশিল্পে যিশুর জন্মদৃশ্য ফুটিয়ে তোলার ঐতিহ্যটি সুদীর্ঘ। এই সকল দৃশ্যে মেরি, জোসেফ, শিশু যিশু, স্বর্গদূত, মেষপালক এবং যিশুর জন্মের পর বেথলেহেমের তারার সাহায্যে পথ চিনে তাঁকে দর্শন করতে আসা বালথাজার, মেলকোয়ার ও ক্যাসপার নামক তিন জ্ঞানী ব্যক্তির চিত্র অঙ্কন করা হয়।[১৫]
বিভিন্ন সংস্কার _যে সকল দেশে খ্রিষ্টান সংস্কার প্রবল, সেখানে দেশজ আঞ্চলিক ও লোকসংস্কৃতির সঙ্গে মিলনের ফলে বড়দিন উদ্যাপনে নানা বৈচিত্র্য চোখে পড়ে। অনেক খ্রিষ্টানের কাছে ধর্মীয় উপাসনায় অংশ নেওয়া এই উৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। উল্লেখ্য, বড়দিন ও ইস্টারের মরসুমেই গির্জায় জনসমাগম হয় সর্বাধিক।
অনেক ক্যাথলিক দেশে বড়দিনের পূর্বদিন ধর্মীয় শোভাযাত্রা বা কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। অন্যান্য দেশে সান্টাক্লজ ও অন্যান্য মরসুমি চরিত্রদের নিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এই মরসুমের অন্যতম বহুলপ্রচলিত বৈশিষ্ট্য হল পারিবারিক সম্মেলন ও উপহার আদানপ্রদান। অধিকাংশ দেশেই বড়দিন উপলক্ষে উপহার আদানপ্রদান হয়; আবার কোনো কোনো দেশে এই প্রথাটির জন্য বেছে নেওয়া হয় ৬ ডিসেম্বরের সেন্ট নিকোলাস ডে বা ৬ জানুয়ারির এপিফেনির দিনগুলি।
ইংল্যান্ডের বড়দিনের পুডিং
অনেক পরিবারেই বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ পারিবারিক ভোজসভা আয়োজিত হয়। ভোজসভার খাদ্যতালিকা অবশ্য এক এক দেশে এক এক রকমের হয়। সিসিলি প্রভৃতি কয়েকটি অঞ্চলে খ্রিষ্টমাসের পূর্বসন্ধ্যায় যে ভোজসভা আয়োজিত হয় তাতে পরিবেশিত হয় বারো রকমের মাছ। ইংল্যান্ড ও ইংরেজি সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবান্বিত দেশগুলিতে সাধারণ বড়দিন ভোজসভার পদে দেখা যায় টার্কি (উত্তর আমেরিকা থেকে আনীত), আলু, শাকসবজি, সসেজ ও গ্রেভি; এছাড়াও থাকে খ্রিষ্টমাস পুডিং, মিন্স পাই ও ফ্রুট কেক। পোল্যান্ড, পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য দেশ ও স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের ভোজে মাছের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়; তবে এই সব অঞ্চলে ভেড়ার মাংসের মতো অত্যধিক-চর্বিওয়ালা মাংসের ব্যবহারও বাড়ছে। জার্মানি, ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ায় হাঁস ও শূকরের মাংস বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া প্রায় সারা বিশ্বেই গোমাংস, হ্যাম ও মুরগির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ফিলিপিনসের ভোজসভার প্রধান খাদ্য হল হ্যাম।
বিশেষ ধরনের টার্ট ও কেকের সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ ডেসার্টও তৈরি হয় বড়দিন উপলক্ষে: ফ্রান্সে bûche de Noël বা ইতালিতে panettone। মিষ্টি আর চকোলেট সারা বিশ্বেই জনপ্রিয়। বড়দিনের বিশেষ মিষ্টিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য জার্মান স্টোলেন, মারজিপান কেক বা ক্যান্ডি এবং জামাইকান রাম ফ্রুট কেক। উত্তর দেশগুলিতে শীতকালে যে অল্প কয়েকটি ফল পাওয়া যায় তার মধ্যে কমলালেবু বড়দিনের বিশেষ খাদ্য হিসেবে দীর্ঘকাল ধরে পরিচিত।
তথ্য সংগ্রহ, GOOGLE /WIKIPEDIA
Government Scheme 2021: স্কিমে কী সুবিধা ? এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার কন্যাশিশুকে 15000 টাকা দেবে। সরকার অ্যাকাউন্টে দেবে মোট 15000 টাকা। 6টি কিস্তিতে এই টাকা দেওয়া হবে।
Kanya Sumangla Yojana: কীভাবে পাবেন ১৫,০০০ টাকা ?
প্রথম কিস্তির জন্য 2000 টাকা - একটি কন্যা সন্তানের জন্মের উপর ভিত্তি করে।
দ্বিতীয় কিস্তির জন্য 1000টাকা দেওয়া হবে এক বছর পর্যন্ত সন্তানের টিকা দেওয়ার জন্য।
তৃতীয় কিস্তির জন্য 2000 টাকা - ক্লাস 1-এ ভর্তির জন্য
চতুর্থ কিস্তির জন্য 2000 টাকা - ক্লাস 6-এ ভর্তির জন্য
পঞ্চম কিস্তির জন্য 3000 টাকা দেওয়া হবে ক্লাস 9-এ ভর্তির জন্য
ষষ্ঠ কিস্তির জন্য 5000 টাকা - ক্লাস 10 বা ক্লাস 12 পাশের পরে বা 2 বছরের বেশি মেয়াদের ডিপ্লোমা কোর্সের পরে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট চেক করুন
মালদহে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীর। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁর স্ত্রীটকে ভর্তি করা হয়েছে মালদহ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজারের মালঞ্চপল্লি এলাকায়। গোটা ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সোমবার সকালে ইংরেজবাজারের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চপল্লিতে তিনতলা বাড়ির ছাদে ফুলের টবে জল দিতে গিয়েছিলেন সমীর হালদার (৬১) ও তাঁর স্ত্রী ঝুমা হালদার (৫৬)।
জানা যাচ্ছে, সমীর ইংরেজবাজার থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। দেড় বছর আগে তিনি অবসর নেন। প্রতিবেশীরা জানান, তাঁরা যখন ঘটনাস্থলে আসেন, তখন দেখেন সরু গলির মধ্যে সমীর ও তাঁর স্ত্রী পড়ে আছেন। তিনতলার ছাদে একদিকে রেলিং রয়েছে, একদিকে রেলিং নেই। কিছুদিন আগে নতুন সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছিল। তবে ঠিক কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে, তা এখনই চূড়ান্তভাবে বলা যাচ্ছে। তবে দেখে মনে হচ্ছে, পা পিছলেই পড়ে গিয়েছেন। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই এই বিষয়ে জানা যাবে।
বালির নিখোঁজ দুই গৃহবধূর ঘটনায় নাটকীয় মোড়। অবশেষে খোঁজ মিলল তাঁদের। আপাতত দুই গৃহবধূর ঠিকানা আরব সাগর তীরে বাণিজ্য নগরীর মুম্বই। তদন্তে অন্তত এমনটাই জানা যাচ্ছে।
ঠিক কী ঘটেছে?
ছয় মাস আগে বালি আনন্দনগর সাঁপুইপাড়া এলাকায় একতলা বাড়ির সংস্কারে কাজ করতে এসেছিল দুই রাজমিস্ত্রি।
কীভাবে এগিয়েছে তদন্ত?
নিখোঁজ দু'জনের মোবাইল ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পেরেছে প্রথমে মুর্শিদাবাদ ও সেখান থেকে তাঁরা মুম্বই চলে গিয়েছেন। মুম্বইয়ের ঠিক কোন জায়গায় তাঁরা রয়েছেন তাই এখন জানার চেষ্টা করছে নিশ্চিন্দা থানা। তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে গত ১৫ই ডিসেম্বর বুধবার দুই গৃহবধূর এক জনের মোবাইলে একটি ফোন আসে। সেই ফোন কলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে মুর্শিদাবাদ চলে যাওয়ার কথা বলা হয়। কারা গৃহবধূর মোবাইলে সেই ফোন করে সেটা খুঁজতে গিয়েই পুলিশ দুই রাজমিস্ত্রির খোঁজ পায়। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে ওই দুই রাজমিস্ত্রিই দুই গৃহবধূকে নিয়ে চলে যায়। পুলিশের ধারণা প্রথমে শ্রীরামপুরে সাক্ষাত্ করে সেখান থেকে ৫ জনেই মুর্শিদাবাদ চলে যায়। এর পর সেখান থেকে চলে যায় মুম্বই। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক সোমবার জানালেন, (বড়বউ) অনন্যা কর্মকার ও (ছোটবউ)রিয়া কর্মকার নামে বালির দুই গৃহবধূ রিয়ার ৭ বছরের ছেলেকে নিয়ে স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ঠিক কোথায় তাঁরা রয়েছেন তার খোঁজ করছে পুলিশ। কীভাবে, কখন, কোথায় তারা গিয়েছে তা বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে।
রাজমিস্ত্রির সঙ্গে প্রেম করে দুই গৃহবধূ বাড়ি ছাড়লেন অথচ পরিবারের সদস্যরা তা ঘুণাক্ষরেও টের পেলেননা এই দিকটাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। পরিবারের সদস্যরা কী বিষয়টি জানতেন না, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শুধুই কী দুই রাজমিস্ত্রি প্রেমালাপ করে বাড়ি থেকে দুই গৃহবধূকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে চলে গেলেন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে, সে সব দিকই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সংক্ষেপে পুরো ঘটনা আরও একবার
গত ১৫ই ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরোনোর পর সোমবার সন্ধে পর্যন্ত বালির আনন্দনগরের বাসিন্দা দুই গৃহবধূ ও এক শিশু বাড়ি ফেরেনি। শ্রীরামপুরে শীতের পোশাক কিনতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। তারপর থেকে আর তাঁদের খোঁজ মেলেনি। গৃহবধূ অনন্যা কর্মকার, রিয়া কর্মকার ও তার সাত বছরের ছেলে আয়ূস কর্মকারের অসহায় বাড়ির লোকেরা কখনও থানা কখনও বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়ি দৌড়াদৌড়ি করেছেন। কিন্তু এত দৌড়াদৌড়ি করেও কোনও খবর পাননি।
সোমবার প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি। পরিবারের তরফে জানানো হয় পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত করুক।
নির্বাচনের আগে রাজনীতির পিচের গতিপ্রকৃতি এমনিতেই থাকে জটিল। সেই পিচে আবার ধর্ম অবমাননার মতো বিষাক্ত গুগলি ছুটে এলে, সব রাজনীতিকই একটু সমঝে খেলেন। পঞ্জাবে আর সব রাজনীতিক সেই বল রক্ষণাত্মক ভাবে খেললেও, ব্যতিক্রম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত্ সিংহ সিধু। ক্রিকেটের মাঠে সিধু যে মেজাজে খেলতেন, রাজনীতির ময়দানেও তাই।
শনিবার অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে শিখদের ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থসাহিবের অবমাননা এবং পরের দিন কপূরথালার একটি গুরুদ্বারে ধর্মীয় ঝান্ডা খোলার চেষ্টা করেছিল দু'জন। তাদের মৃত্যু হয়েছে গণরোষে। মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত্ সিংহ চন্নী থেকে শুরু করে শাসক ও বিরোধী দলের বহু নেতাই ধর্ম অবমাননার চেষ্টার নিন্দা করেছেন, কিন্তু দুষ্কৃতীকে পিটিয়ে মারার বিষয়টি নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এমনকি সিধুও নন।
গত বিধানসভা ভোটের আগেও পর পর এই ধরনের কয়েকটি ঘটনা উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। আগের অমরেন্দ্র সিংহ সরকারের বিরুদ্ধে সিধুর অন্যতম প্রধান অভিযোগ ছিল, ধর্ম অবমাননার ঘটনাগুলিকে তিনি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে চক্রান্তকারীদের খুঁজে বার করার চেষ্টা করেননি। এ বারও তিনি সরাসরি নাম না-করে দাবি করেছেন, ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্রের দল ও বিজেপির জোটই এই দুষ্কর্মের পিছনে রয়েছে। পঞ্জাবকে অশান্ত করা এদের লক্ষ্য। রাজ্যের মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে সিধু বলেছেন, 'গুরু নানক পাঞ্জাবিদের বিশ্বভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দিয়েছেন। তাঁদের বিভক্ত করা সহজ হবে না।'
যে দু'জনের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে রাজ্য উত্তাল, জনতা যাদের পিটিয়ে মেরে ফেলেছে— পুলিশ এখনও তাদের পরিচয় বার করতে পারেনি। পঞ্জাবের সংবাদমাধ্যমে এ দিন দু'জনের ছবি প্রকাশ করা হলেও কেউ তাদের চেনে বলে এগিয়ে আসেনি। কপূরথালায় নিহত 'দুষ্কৃতী' অন্য রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিক হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। ময়না-তদন্তে তার দেহে ৮টি গভীর ক্ষত মিলেছে, যেগুলি তরোয়ালের কোপে হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ তার পরেও হত্যার অভিযোগে আলাদা কোনও এফআইআর করেনি। গুরুদ্বারের যে গ্রন্থি প্রথম তাকে ঝান্ডা খুলতে দেখে তাড়া করেছিলেন, রবিবার তাঁকে আটকে রেখে জেরা করেছে পুলিশ। তাতে তাদের ধারণা হয়েছে— ধর্ম অবমাননা নয়, হয়তো চুরি করতে ঢুকছিল ওই যুবক। কিন্তু দু'জনকেই পিটিয়ে মেরে ফেলাই তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা কোনও দিনই জানা যাবে না।
রবিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ (Police) বর্ধমান (Purba Bardhaman ) শহরের নবাবহাট এলাকায় হানা দেয়। এর পরেই ওই ব্যক্তি দুটি আগ্নেয় অস্ত্র (arms and explosive) সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে । ধৃত ব্যক্তির কাছ থেকে একটি 8 MM পিস্তল ও একটি ওয়ান সর্টার গান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একটি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
- Bhuvneshwar Kumar's daughter first picture: ভুবনেশ্বর কুমার নিজেই শেয়ার করলেন সদ্যোজাতর ছবি, খুদের ছবি ভাইরাল
ধৃত ব্যক্তির নাম প্রভাত চন্দ্র। তার বাড়ি বর্ধমানের আমবাগান রেল কোয়ার্টার এলাকায়। পুলিশ ধৃতকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে তার বাড়ি থেকে নয়টি তাজা বোমা (arms and explosive) উদ্ধার করে। ধৃতকে সাতদিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালতে পেশ করে বর্ধমান থানার পুলিশ।
- Viral News: 'বাপের বয়সী' পুরুষকে বিয়ে করে চুটিয়ে সংসার, 25 year-র ছোট-বড় এই দম্পতি
পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, বর্ধমান থানার পুলিশ কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল নবাবহাট এলাকায় এক ব্যক্তি রয়েছে যার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র আছে। পুলিশের বিশেষ টিম সেই ব্যক্তি কে ধরে ফেলে। তার কাছ থেকে দুটি বন্দুক উদ্ধারের পাশাপাশি ধৃতের বাড়ি থেকেও নয়টি বোমা পাওয়া যায়।
এই ব্যক্তির কাছে এতো পরিমান অস্ত্র ও বোমা (arms and explosive) কোথা থেকে এলো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সে কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল কি না জানতে তাকে সাতদিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে বর্ধমান জেলা আদালতে। বোমগুলি নিষ্ক্রিয় করতে বোম স্কোয়ার্ড খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সোর্স মারফত নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয়েছিল। ওই ব্যক্তি কোনও অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এই বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। আবার এই সব বোমা আগ্নেয়াস্ত্র অন্যত্র পাচারের পরিকল্পনাও থেকে থাকতে পারে। তাই তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ব্যক্তি বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে মজুত করেছিল তা জানার জন্য হেফাজতে নিয়ে ধৃতকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসা বাদ করা হবে। মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখে তার সঙ্গে কার কার যোগাযোগ ছিল তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বিজেপির অভিযোগ, ধৃত দুষ্কৃতী শাসক দল তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। পুর ভোট আসন্ন। এখানে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরির জন্য এই বোমা আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি করা হচ্ছে। শান্তির পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশের উচিত ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে সব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। এর সঙ্গে তৃনমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।
বাজার থেকে বাইকে ফিরছিলেন দুই ভাই। রাস্তায় উল্টো দিক থেকে একটি ট্রাকের সজোরে ধাক্কা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির কচুবেড়িয়ার ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে। মৃত দুই ভাইয়ের নাম সুজয় মণ্ডল ও বিজয় মণ্ডল।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১২ টা নাগাদ উস্থি থানার হটুগঞ্জের বাসিন্দা সুজয় মন্ডল ও বিজয় মন্ডল বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন।
সুজয় ও বিজয় সম্পর্কে খুড়তুতো ভাই। অন্যদিকে ঘাতক গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "শীতের রাতে রাস্তায় লোক ছিল না। আচমকাই একটা বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে এসেছিলাম। আমরা যতক্ষণে এসে পৌঁছই ঘাতক লরির চালক ততক্ষণে গাড়ি ফেলে পালিয়েছে। একটা বাইক পড়ে থাকতে দেখি। কিছুটা দূরেই দুই যুবক পড়েছিল। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল রাস্তা। আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।" একই সঙ্গে দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম। তবে জাতীয় সড়কে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা
এবার 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচিতে একযোগে স্থান পেতে চলেছে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের বিষয়ও। কারিগরি শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন ধরনের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারি সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি জানিয়েছেন, এখন তাঁর আসল লক্ষ্য হল শিল্প স্থাপন এবং কর্মসংস্থান।
জানুয়ারি মাসের ২ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি। সেই 'দুয়ারে সরকার' শিবির থেকেই এই উদ্যোগের সূচনা হবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে সে বিষয়েও বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে 'ডিরেক্টরেট অব ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং' দফতর। সেখানেও এই নতুন পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
কারিগরি শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি মারফত প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে মাসে ১০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আপাতত এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে পরে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। কারিগরি শিক্ষা দফতরের দাবি, এই কাজ শুরুর ভাবনাচিন্তা ছিল আগেই। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে পরিস্থিতির জন্য কর্মসূচি শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। কিন্তু 'দুয়ারে সরকার'-এর মতো কর্মসূচিতে এই বিষয়টিকে যুক্ত করে সেই ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করা যাবে।
কারিগরি শিক্ষা দফতর 'আমার কর্মদিশা' নামে একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। 'দুয়ারে সরকার' শিবিরে দফতরের কর্মীরা এই অ্যাপের মাধমেই কর্মসংস্থানের ব্যাপারে যুবক-যুবতীদের সাহায্য করবেন। বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও প্রশিক্ষকরা (ইনস্ট্রাক্টর) ওই শিবিরগুলিতে কাউন্সিলারের ভূমিকায় হাজির থাকবেন। এই কাজের দায়িত্বে রয়েছেন মোট ২,৮৫৫ জন। প্রতিটি জেলার দায়িত্বে থাকছেন একজন করে 'প্রজেক্ট ম্যানেজার'। প্রতিটি জেলার 'দুয়ারে সরকার' ক্যাম্পগুলিতে যাতে বেশি সংখ্যক যুবক-যুবতীর সঙ্গে ওই শিক্ষক ও প্রশিক্ষকেরা কথা বলে কর্মসংস্থানের পথ দেখাতে পারেন। সে কথা মাথায় রেখেই পরিকাঠামো সাজানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দফতরের এক কর্তা।
ওই শিবিরগুলিতে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে সামিল করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ মূলত করবে ওই সংস্থাগুলিই। এই প্রশিক্ষণ পাওয়ার জন্য কোনও অর্থ খরচ করতে হবে না। প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট সংস্থাই ভাতা দেবে তাঁদের। প্রশিক্ষণ শেষ হলে কাজের নিশ্চয়তাও থাকছে বলে জানাচ্ছেন কারিগরি শিক্ষা দফতরের এক কর্তা। খুচরো বিক্রিবাটা, অফিসের কাজ, রান্নার কাজ, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কাজ, বিদ্যুত্ সংক্রান্ত কাজ হাতেকলমে শেখানো-সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর যুবক-যুবতীরা তাঁদের যোগ্যতা ও ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ বেছে নেবেন। সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের প্রবীণ নেতা তথা কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষক কাছারি সমিতির উপদেষ্টা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ''রাজ্যের এই উদ্যোগ সত্যিই অভিনব। দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে ব্লকে ব্লকে যুবক-যুবতীরা প্রশিক্ষণের সুযোগ এবং নিজের ইচ্ছেমতো কাজ বেছে নিতে পারবেন। রাজ্য সরকারের এই ভাবনাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। দুয়ারে সরকার যে ভাবে সাফল্য পেয়েছে, তার হাত ধরে কারিগরি শিক্ষা দফতরও সাফল্য পাবে বলে আমরা আশা করছি।''
পারদ এখনও নিম্ন তাপমাত্রায়। কলকাতা ও আশেপাশের এলাকার তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি। তবে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে শীতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি কম। গতকাল,সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.৪ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি কম।
তবে বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ সমস্ত জেলা এখনও হাই অ্যালার্টে রয়েছে। আগামীকাল, বুধবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। এমনকি বড়দিনেও তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে।
সপ্তাহের শুরুতেই বাংলায় শীত। কলকাতায় আজ ছিল মৌসুমের সবচেয়ে ঠান্ডা দিন। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। হালকা কুয়াশাও আছে। ফলস্বরূপ, সপ্তাহের শুরুতে কলকাতার তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রিতে নেমে গেছে। অন্য জেলায় শীতের প্রকোপ আরও বেশি।
সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশের পাহাড়ি এলাকায়ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাব পড়বে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায়। সকালে হালকা কুয়াশা থাকবে। উত্তরবঙ্গের দু-এক জায়গায় কুয়াশার সতর্কতাও জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
সপ্তাহান্তে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝাটের প্রভাব উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে অনুভূত হয়েছিল। পূর্ব দিক থেকে ঝড়ের পর রাজ্যে ঠাণ্ডা বাতাস বইবে। শীতে গোটা রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। একই সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম ভারতে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং সৌরাষ্ট্রে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
মধ্য ভারতের রাজ্যগুলোতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রিতে নামতে পারে। উত্তর-পশ্চিম ভারতেও তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি কমতে পারে। আবহাওয়া দফতর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতেও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে।
পরকীয়ার জের। শাশুড়িকে নিয়ে পালালেন যুবক। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য হাওড়ার (Howrah) লিলুয়ায়। জানা গিয়েছে, পলাতক যুবকের নাম কৃষ্ণ গোপাল দাস। স্ত্রীকে ফেলে রেখে শাশুড়ি শেফালি দাসের সঙ্গে পালিয়েছেন তিনি। লিলুয়া থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ।
লিলুয়া থানা এলাকার জগদীশপুরের বিশ্বাস পাড়ার বাসিন্দা বাবলা দাস। পেশায় ভ্যানচালক। বাবলা দাসের মেয়ে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বিয়ে হয় কৃষ্ণের। শোনা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন যুবক। তার জেরেই শাশুড়ি শেফালি দাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গত শনিবার শাশুড়ির সঙ্গে পালিয়ে যান কৃষ্ণ।
মায়ের সঙ্গে স্বামীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রিয়াঙ্কা। পরে পরিস্থিতি একটু সামলে উঠে বাবার সঙ্গে গিয়ে লিলুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে খবর।
এদিকে শাশুড়ি-জামাইয়ের এই 'কীর্তি' জানাজানি হওয়ার পরই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৭ সালে কৃষ্ণ ও প্রিয়াঙ্কার বিয়ে হয়। এলাকাবাসীদের একাংশের মতে, তার কিছুদিন পর থেকেই শাশুড়ির সঙ্গে কৃষ্ণের প্রেমের সূত্রপাত। প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, ছোট ছোট কারণে তাঁর উপরে অত্যাচার চালাতেন কৃষ্ণ। এমনকী তাঁর গায়ে হাতও তোলা হত।
উল্লেখ্য, হাওড়ার বালিতেও পরকীয়ার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বালির আনন্দনগরের অনন্যা কর্মকার ও রিয়া কর্মকার নামে দুই গৃহবধূ গত পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দুই রাজমিস্ত্রীর সঙ্গে গত ছ'মাস ধরে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন দু'জন। তাঁদের সঙ্গেই পালিয়েছেন। ঠিক কোথায় তাঁরা রয়েছেন তার খোঁজ করছে পুলিশ। কীভাবে, কখন, কোথায় তাঁরা গিয়েছেন, তা বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে।