মানুষ কত কিছুই না করে প্রেমের টানে। নানা অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটিয়ে বসেন অনেকেই। এমনকি অনেকে আবার হাজতবাসও করেন। দেশের উত্তরবঙ্গ এমনই ঘটনার সাক্ষী।
জানা যায়, গাঁজা পাচারের কারবারে জড়িয়ে পড়ল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী প্রেমিকার শখপূরণ করতে গিয়ে। যারজন্য তার ঠিকানা হল শ্রীঘর।
ওই যুবককে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের প্রধাননগর থানার কর্মকর্তারা। সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো তথ্য পেয়ে অবাক পুলিশ তাকে জেরা করে।ওই যুবক কোচবিহার সদর এলাকার বাসিন্দা ধৃত রাজু রায় নামে।তিনি হলেন মাথাভাঙা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনা করে রাজু কলেজ হোস্টেলে থেকেই। গাঁজা-সহ গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের প্রধাননগর থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে তাকে জংশন এলাকা থেকে। ১৬ কেজি ৯০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়। সাড়ে তিন লাখ টাকা যার আনুমানিক বাজার মূল্য। কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি হয়ে ওই গাঁজা বিহারে পাচারের কথা ছিল। বিনিময়ে ১০ হাজার টাকা পেত কলেজ পড়ুয়া। কিন্তু পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় পুলিশ। বুধবার ধৃতকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (জোন ১) বিদিতরাজ ভুনদেশ বলেন, "গাঁজা পাচারের ক্যারিয়ার হিসেবে ওই যুবককে ব্যবহার করা হচ্ছিল। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পাচারকারীরা ওকে ব্যবহার করেছে।"
ধৃত ওই কলেজ ছাত্রের বাবা কর্মসূত্রে শিলিগুড়িতে থাকেন। তিনি একটি হোটেলে রান্নার কাজ করেন। পুলিশ জানতে পারে, কলেজে ভর্তির পর এক তরুণীর প্রেমে পড়ে রাজু। রেঁস্তরায় খাওয়াদাওয়া, ঘোরাফেরা এবং দামি উপহারের খরচ মেটাতে গিয়ে হিমশিম কলেজ পড়ুয়া। কিছুতেই প্রেমিকার চাহিদাপূরণ করতে পারছিল না সে। তা নিয়ে তরুণীর সঙ্গে কলহও হয়েছে বিস্তর। শেষে রাজুর বন্ধুরা দীপক নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয় তাকে। টাকা উপার্জনের জন্য গাঁজা ব্যাগে ভরে বিহারে পাচারের বুদ্ধি দেন দীপক। সেই ফাঁদে পা দিয়ে বিপাকে পড়ে রাজু। একটি সুটকেসে ভরে মঙ্গলবার সকালে গাঁজা নিয়ে রওনা দেয় সে। কিন্তু জানত না শিলিগুড়িতে তার জন্যই অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ। শিলিগুড়িতে পা রাখামাত্রই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। রাজুর বয়ানের ভিত্তিতে দীপকের খোঁজখবর শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours