ঠাণ্ডা পড়তেই মশার উপদ্রব বাড়ছে। বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপও। গত সাতদিনে রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৭ জন। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী কলকাতায় এক সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৩ জন। এবছর মোট আক্রান্ত ১ হাজার ৩৬৪ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় এবছর মোট আক্রান্ত ১ হাজার ১৬৭ জন।তারমধ্যে গত এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৫ জন। অন্যদিকে কয়েকদিন আগেই কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ জানান, এবছর ডেঙ্গ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে সতর্ক থাকতে হবে। কোথাও জল যেন জমে না থাকে, সেবিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

অন্যদিকে, হাওড়ায় এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭ জন। মোট আক্রান্ত ৪০১ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক সপ্তাহে আক্রান্ত ৫০। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৫ জন। দার্জিলিংয়ে সাতদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ জন। মোট আক্রান্ত ১৯৯ জন। জানা গেছে, শিলিগুড়িতেও বেড়েছে মশার দাপট অবস্থা বেশ খারাপ।

বাগডোগরা, নকশালবাড়িতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সুকনাতেও জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ, জায়গায় জায়গায় জমা জল বিপদ বাড়াচ্ছে। পুরসভার ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

চিকিত্‍সকদের দাবি, ডেঙ্গু আর কোভিড-১৯ নিরাময়ে এখনও নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। এ সব ক্ষেত্রে উপসর্গভিত্তিক চিকিত্‍সা করতে হয়। কিন্তু রোগীর শরীরে উপসর্গ (ক্লাসিক্যাল সিম্পটম) না থাকলে উপসর্গভিত্তিক চিকিত্‍সাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। চিকিত্‍সক কীসের ভিত্তিতে রক্ত বা লালারসের পরীক্ষা করাতে বলবেন, সেটাই হয়ে দাঁড়ায় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রেও সেরকম হলে বিষয়টি ভাবনার।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours