পঁচিশ জন কিশোর-কিশোরীর মামা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তাদেরকে তিনি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে দাবি করেছিলেন এক সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাতেই ওই সমস্ত কিশোর-কিশোরীকে পাচার করা হচ্ছে বলে সন্দেহ দৃঢ় হয়। শনিবার এমন সন্দেহে চারজনকে আটক করল পুলিশ।ঘটনাটি রায়গঞ্জ থানা এলাকার।
শনিবার সন্ধ্যায় ২১ জন কিশোর এবং চারজন কিশোরীকে রায়গঞ্জ স্টেশন থেকে রাধিকাপুর-কলকাতা এক্সপ্রেসে তুলতে তাড়াহুড়ো করছিলেন চারজন - দু'জন পুরুষ এবং দু'জন মহিলা। ঘটনাচক্রে সময়ই নিজের এক আত্মীয়কে ট্রেনে তুলতে এসেছিলেন কৌশিক চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি। আত্মীয়কে টেনে তোলার পরে তাঁর চোখ যায় কিশোর-কিশোরীদের উপর। তিনি দেখেন যে দু'জন পুরুষ এবং দু'জন মহিলা ওই কিশোর-কিশোরীদের সামলাতে ব্যস্ত রয়েছেন। একসঙ্গে এতজন কিশোর কিশোরীকে দেখে তিনি ওই ব্যক্তিদের একজনকে পরিচয় জিজ্ঞেস করেন। এর মধ্যে একজন নিজের নাম মোজাহিদুল ইসলাম বলে জানান। তিনি নিজেকে হরিরামপুরের মহেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলে দাবি করেন। এরপরে তাঁদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জিজ্ঞেস করলে প্রথমে ওই ব্যক্তি উত্তর জানান যে তাদের বিয়েবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরক্ষণেই আবার জানান যে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক নিজেকে ওই কিশোর-কিশোরীদের মামা বলে পরিচয় দেন। ওই ব্যক্তির কথায় অসঙ্গতি মেলায় সন্দেহ হয় কৌশিকের।
পাচারচক্র জড়িত সন্দেহে তিনি সরাসরি পুলিশ ও চাইল্ড লাইনে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ওই চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশও তাদের উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এছাড়া, কিশোর-কিশোরীদের অভিবাবকদের কোনও সম্মতিপত্রও তারা দেখাতে পারেননি। এরপরে তাদের আটক করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। চাইল্ড লাইনকর্মী সুব্রত সাহা বলেন, 'এতগুলো বাচ্চাদের অভিভাবকরা সঙ্গে নেই। এটা মেনে নেওয়া একটু কষ্টকর। ' এই ঘটনায় তদন্ত নেমেছে পুলিশ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours