দিন কয়েক আগে নিজেই স্ত্রীকে বাপের বাড়ি পাঠিয়েছিলেন স্বামী। এরপর শান্তিমতো কাজে গিয়েছিলেন। কিন্তু দিন-দশেক পর বাড়িতে ফিরেই হল সমস্যা। শ্বশুরবাড়িতে থেকে বউকে আনতে গেলে বাধ সাধল সে। কিছুতেই ফিরতে চাইল না স্বামীর সঙ্গে। এরপর শুরু বচসা। আর এই বচসার জেরে খুন স্ত্রীকে।ঘটনাস্থান উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার কাপসিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মায়ানগর। জানা গিয়েছে মৃত স্ত্রী-র নাম গীতা চৌধুরী (২০)। অভিযুক্ত স্বামীর নাম সঞ্জয় চৌধুরী।
মৃতের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, সঞ্জয় হলেন পেশায় ভীনরাজ্যের শ্রমিক। দিন দশেক আগে স্ত্রীকে বাপের বাড়ি রাখতে আসে সে। সেখানে স্ত্রীকে রেখে মালদায় নিজের বাড়ি ফিরে যায় সঞ্জয়। এরপর দিন তিনেক আগে স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আসেন সঞ্জয়বাবু। কিন্ত বেঁকে বসেন স্ত্রী। কিছুতেই শ্বশুরবাড়ি ফিরে যেতে চাননা তিনি। তখন থেকেই ঝামেলা বাধে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে।
গতকাল এই একই ইশ্যুতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলে বিবাদ। সেই বিবাদ পৌঁছায় চরমে। সঞ্জয়ের সঙ্গে কোনও ভাবেই শ্বশুরবাড়ি যেতে চাননা গীতা। যার ক্রমাগত রাগ বাড়তে থাকে সঞ্জয়ের। পরে গীতার বাবা অর্থাত্ সঞ্জয়ের শ্বশুর-শাশুড়ির বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিল সে।
যখন গীতার মা-বাবা বাইরে কাজের জন্য গিয়েছিলেন সেই সময় শোওয়ার ঘরে গীতাকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে সঞ্জয়। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। এখানেই শেষ নয়, স্ত্রীকে খুনের পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করতে যান বলে অভিযোগ।
এদিকে, প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা এসে দু’জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। আর দেরী না করে তড়িঘড়ি তারা ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতালে দুইজনকে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিত্সকরা গীতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
এই ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত স্বামী জানান,”প্রায় দশদিন হয়ে গেল বাপের বাড়িতে এসেছে। এখন আর শ্বশুরবাড়ি যেতে চাইছে না। ওর বাবা-মাও বলছিল ওকে নিয়ে চলে যেতে। কিন্তু ও যেতেই চাইছিল না কিছুতে। এরপর আজ সকালেও ওকে জিজ্ঞাসা করি বাড়ি ফেরার জন্য। কিন্তু রাজি হয়নি। উল্টে বলল আমার মেরে তুমি নিজেও মরে যাও। এরপরই আমি ছুরি দিয়ে ওকে খুন করে নিজে আত্মহত্যা করতে চাই।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours