Subscribe to:
Post Comments (Atom)
গত মঙ্গলবার রাতে দুধকুমারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরদিন আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে দফায় দফায় জেরা করতেই অভিযুক্তের কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে বলে খবর। খুনের পরিকল্পনা দুধকুমারের একারই ছিল, না কি আরও কেউ এই চক্রান্তে জড়িত, তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ। দুধকুমার জেরার মুখে বার বার নিজের বয়ান বদল করে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলেও পুলিশ সূত্রের খবর।
অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার রাতে রেণুকাদেবীর ফ্ল্যাটে ঢোকার সময়ে কোনও ফোন সঙ্গে নেয়নি সে। এমনকি, পালিয়ে যাওয়ার পরেও নিজের ফোন ব্যবহার করছিল না দুধকুমার। রীতিমতো পরিকল্পনা করে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতেই ফোন থেকে দূরে ছিল সে। যদিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুধকুমারকে শনাক্ত করার পরেই তার মোবাইল ফোনের কল-তালিকার সূত্র ধরে ডানকুনিতে হানা দেন তদন্তকারীরা।
তবে, খুনের এই ঘটনার পরে তিন দিনের বেশি কেটে গেলেও এখনও 'মোটিভ' বা খুনের প্রধান উদ্দেশ্য নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা। শুধুমাত্র লুটপাটের উদ্দেশ্যেই কি খুন, না কি এর পিছনে আরও গূঢ় কোনও কারণ রয়েছে? ধৃতকে জেরা করে আপাতত এই প্রশ্নেরই উত্তর পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুধকুমার সম্প্রতি বেশ কিছু ধারদেনা করে ফেলেছিল। সেই ঋণ শোধ করার জন্য তাকে নিয়মিত তাগাদা
দিচ্ছিলেন পাওনাদারেরা। শুধুমাত্র সেই দেনা শোধ করতেই কি এত বড় ঝুঁকি নিল দুধকুমার? এই বিষয়টিই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
ধৃতকে জেরা করে লুট হওয়া গয়নার পাশাপাশি এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ারও চেষ্টা চলছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours