ক্যানিংয়ের পর রাজগঞ্জের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতারও মৃত্যু
ক্যানিংয়ের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার মৃত্যুর পর এবার রাজগঞ্জের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতারও মৃত্যু হল। রবিবার রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও তদন্ত শুরু হলেও এখনও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। । অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূল।রবিবার ক্যানিংয়ে তৃণমূল নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক জখম অবস্থায় ভর্তি হলেন রাজগঞ্জ-এর আরও এক তৃণমূল নেতা। তার মাথায় গুলি লেগেছে। এরপরে পাশের এক দোকানদারেরও লাগে সেই গুলি। দুজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।
জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল নেতার নাম সোলেমান আলী (৫৫), তার বাড়ি বলরাম এলাকায়। রবিবার রাতে রাজগঞ্জের ভুটকি গন্ডার মোর এলাকায় একটি লটারি দোকানে বসে ছিলেন তিনি। সেসময় বাইক নিয়ে এসে দুই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি লটারি দোকানের সামনে দাড়ায়। বাইক তখন চালু অবস্থাতেই। অন্যজন বাইক থেকে নেমেই সোলেমানের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপরেই বাইক চালিয়ে চম্পট দেয়।
গোটা ঘটনায় হঠাত্ স্থানীয়রা হতবম্ব হয়ে গেলেও মুহূর্তেই ওই বাইককে ধাওয়া করেন তাঁরা। কিন্তু ততক্ষণে পালিয়ে যায় ওই দু'জন। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সোলেমান। এদিকে সোলেমানের মাথার থেকে সেই গুলিটি ছিটকে লটারি দোকানদার এর লাগে। তিনিও আহত হন।
দু'জনকেই গুরুতর জখম অবস্থায় ফুলবাড়ী একটি নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয়। তবে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁদের স্থানান্তর করা হয় শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে। কিন্তু সেখানেই চিকিত্সা শুরুর আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। তবে আহত সেই দোকানদারের চিকিত্সা চলছে এখনও।
জানা গেছে সোলেমান ব্লকের একজন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা। তার চা বাগান রয়েছে। কিন্তু কেন এই গুলি ? কারা গুলি চালাল তা এখনো স্পষ্ট নয় । এর পেছনে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে নাকি রাজনৈতিক রয়েছে তা জানা যায়নি। তবে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours