মাদক পাচার, তোলাবাজি, জালিয়াতি চক্রের অন্যতম বড় মাথা ছিল শেখ বিনোদ। কলকাতা পুলিশের 'মোস্ট ওয়ান্টেড' তালিকায় নামও ছিল তার। আগেও একবার ভুয়ো কলসেন্টার চালানোর অভিযোগে ধরা পড়েছিল শেখ বিনোদ। কিন্তু এবার আরও বড় প্রতারণা চক্রে তার নাম জড়িয়েছে।প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগে তাকে খুঁজছিল পুলিশ। শুক্রবার খড়্গপুর থেকে তাকে ধরে আনে লালবাজারের গোয়েন্দা অফিসাররা। পুলিশ জানিয়েছে, সিআইটি রোডের পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের শাখায় এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছে একটি চক্র। আর এই চক্রের মাথায় রয়েছে কুখ্যাত তোলাবাজ শেখ বিনোদ। ব্যাঙ্কেরই এক কর্মীর সাহাস্যে প্রতারণার জাল বিছিয়েছিল বিনোদ। দুটি ভুয়ো অ্যাকাউন্টও খোলা হয়েছিল। সেগুলোর মাধ্যমেই জালিয়াতি চলত। গ্রাহকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সবস্ব লুঠ করে নিত বিনোদ ও তার দলবল। ব্যাঙ্কেরই এক গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জেরা করেই উঠে আসে শেখ বিনোদের নাম। শুরু হয় খোঁজ। অবশেষে গতকাল খড়্গপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভুয়ো কলসেন্টারের কারবার খুলে বসার জন্যও বিনোদকে খুঁজছিল পুলিশ। মাদক পাচারের অভিযোগও ছিল তার নামে। তদন্তকারীরা বলছেন, নব্বইয়ের দশকে বাম আমলে দক্ষিণ শহরতলিতে বিনোদ দলবল নিয়ে ডাকাতি, সন্ত্রাসমূলক কাজ চালাত। একবার জনতার তাড়া খেয়ে ছদ্মবেশে পালিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছিল। পরে নাকি সে তার কাজের ধরন বদলে ফেলে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours