তিনি বলেছেন, করোনার কথা ভুলে না যাই আমরা উত্সবের আনন্দে। পরিস্থিতি না হয় যেন দুর্গাপুজোর মতো।
উত্সবে মাতোয়ারা মানুষজনকে মাস্ক পরার বার্তা বিরোধী দলনেতা দুর্গাপুজোর ভিড়ে উর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে। তিনি বলেছেন, "ধর্ম হল আস্থার জায়গা, আর উত্সব হল মিলনের। হাজারো হাজারো মানুষ বুধবার রাত থেকেই উত্সবে মেতেছে তমলুক শহর বর্গভীমার টানে। করোনা গ্রাফ বাড়িয়েছি আগের দুর্গোত্সবে মহানগরী কলকাতা সহ বেশ কিছু জায়গায়। তাই মাস্ক পরে দূরত্ব বিধি মেনটেন করে উত্সবে শামিল হওয়ার অনুরোধ করছি উত্সবে মাতোয়ারা প্রত্যেক মানুষকেই।"
বুধবার তমলুকের হসপিটাল মোড়ে উত্তরায়ন ক্লাবের কালীপুজোর উদ্বোধন করেন বিজেপি বিধায়ক। সেখান থেকে উত্সবে মাতোয়ারা মানুষজনকে করোনা থেকে বাঁচতে সচেতনতার বার্তা দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কার্যত দুর্গাপুজোর আনন্দে যেভাবে সাধারণ মানুষ করনা বিধিকে উপেক্ষা করে যেভাবে উত্সবে মাতোয়ারা হয়েছিলেন। তার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে এবং করোনা থেকে সাধারণ মানুষকে দূরে রাখার জন্যই সাবধানতার কথা উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা। বুধবার বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করেন শুভেন্দু। সেই পুজোর উদ্বোধনী মঞ্চ থেকেও কোথাও কোথাও রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন তিনি। যেমন ঘাটালে কিশোর সংঘ নামে একটি ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যকে নিশ না করেন তিনি। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, "আমরা অনেকে যখন ফটো সেশন করেছি। বলেছি, খিঁচ মেরি ফটো, ভাষণ দিয়েছি, পুলিশ-সান্ত্রী মিডিয়া নিয়ে ছবি তুলেছি, তখন নিভৃতে এই কিশোর সংঘের বন্ধুরা বেশ কয়েকদিন মানুষকে অন্ন প্রদান করেছে। এটাই স্বামী বিবেকানন্দ শিখিয়ে গিয়েছেন।"
একই সঙ্গে কালীর কাছে তাঁর প্রার্থনা, "উত্সব পালন করুন, ভাল থাকুন। আমরা অন্য ধর্মের প্রতি খারাপ আচরণ করি না। মিথ্যা প্রচার করে মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। শান্ত, সংযম ও অন্য ধর্মকে সহ্য করার কথা বলে সনাতনী ধর্ম। তাই ৫০০ মণ্ডপ, ২০০ মন্দির গুঁড়ো করে দেওয়া হল। আমরা মায়ের কাছ প্রার্থনা করব, পৃথিবীর সমস্ত প্রান্তের হিন্দু যেন ভাল থাকে। নিজেদের ধর্মাচারণ করতে গিয়ে যেন বাংলাদেশের হিন্দুদের মতো অবস্থা না হয়।"
Post A Comment:
0 comments so far,add yours