ফোন আসছে… ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলো গুজব: জাভেদ শামিম
এখানে কি ক্ষমতা জাহির করতে প্রতিবাদ? করতে হলে দিল্লি যান’, নওশাদের ওয়াকফ প্রতিবাদ নিয়ে খোঁচা তৃণমূলের
আরও ‘ঝাঁঝ’ বাড়াচ্ছেন চাকরিহারারা, এবার নিলেন বিরাট সিদ্ধান্ত
নির্বাচন কমিশনকে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে ভোট করানোর দাবি তুললেন শুভেন্দু
এবার ভাঙড়! রাস্তার উপরই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল পুলিশের বাইকে, পরপর ভাঙচুর গাড়ি
গাড়ি চালাতে ভালবাসত খুব। মোটর চালিত ভ্যান হোক নবা বাইক গাড়ি দেখলে যেন ছটফট করে উঠত ছোটো ছেলেটির মন। কিছুতেই যেন আটকে রাখতে পারত না নিজেকে। আর এই গাড়ির প্রতি ভালোবাসার জন্যই বকা খেতে হয়েছিল বাবা-মায়ের। কিন্তু সেই বকা ভালোভাবে মেনে নিতে পারেনি কিশোর।অভিমান হয় তার। সেই অভিমান থেকেই চরম সিদ্ধন্ত। দীপাবলির দিন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী করে সে।
দীপাবলির আলোতে নিভলো বংশের দীপশিখা। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হল ওই স্কুল ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে রাতে ক্যানিং থানার অন্তর্গত গোপালপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত ভদ্রী গ্রামে।
পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। ঠিক এর পাশাপাশি অন্য কোনও কারণে ওই যুবক আত্মঘাতী হল কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, ভদ্রী গ্রামের এক দম্পতির দুই ছেলে। পরিপারের ছোট ছেলে ছিল ওই কিশোর। স্থানীয় আমতলা মোতিরাম হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র সে। ছোট থেকেই একটু দুরন্ত । অটো,ইঞ্জিন ভ্যান এমন কী পাড়ার দাদাদের কাছ থেকে বাইক নিয়েও চালাত সে। ছোট থেকেই গাড়ির প্রতি এক অদ্ভূত ভালোবাসা তৈরি হয় তার। জানা গিয়েছে,গাড়ি চালানো পুরোপুরি শিখেও ফেলেছিল সে । আর সেই কারণে যখন-তখন অন্যের গাড়ি নিয়ে রাস্তা বেরিয়ে পড়তো।
গতকাল সকালেও তার অন্যথা হয়নি। পাড়ার এক বাড়ির মোটর চালিত ইঞ্জিন ভ্যান নিয়ে চালিয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি কিশোরের মা-বাব ভালোভাবে মেনে নিতে পারেনি। বয়স কম যদি অন্য কিছু হয়ে যায়। সেই ভয় পেয়েছিল বাবা-মা। বাড়ি ফেরার পর এমন ঘটনায় ছেলেকে সামান্য বকাঝকা করে কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বাবা। কাজে বেরিয়েছিলেন ছেলেটির মা-ও।
সেই সুযোগে রাতেই রাগে অভিমানে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই কিশোর। এরপর প্রতিবেশীরা জানতে পেরে তড়িঘড়ি নেপালকে উদ্ধার করে চিকিত্সার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আচমকা এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর ভদ্রী গ্রামে পৌঁছালে রাতে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours