সামনে গ্রিল কারখানা। মাটির নীচে পাতালঘরে অস্ত্রের কারখানা। সেই কারখানায় যেতে হয় আবার সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে। সেই কারখানাতেই হানা দিল পুলিশ। কারখানার মালিক তো গ্রেফতার হলেনই সেই সঙ্গে এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল শোরগোল।একই সঙ্গে উদ্ধার হল বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং মহকুমার জীবনতলা থানা এলাকার বিবির আবাদ এলাকায়। এখানকারই বাসিন্দা তথা গ্রিল কারখানার মালিক রাজকুমার হালদারের বাড়িতেই এই অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ ও জীবনতলা থানার পুলিশ হানা দেয় রাজকুমারের বাড়িতে। এদিন রাজকুমারকে তোলা হচ্ছে আদালতে।
জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে রাজকুমারের বাড়িতে গ্রিল কারখানার আড়ালে অস্ত্র তৈরি হয়। তার জেরেই আচমকা তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। তাতেই ওই বাড়ির নীচে পাতালঘরে অস্ত্র নির্মাণের কারখানার বিষয়টি সামনে আসে। রাজকুমারের বাড়ির একটি নির্দিষ্ট ঘর থেকেই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে ওই পাতালঘরে পৌঁছানো যেত। সেই ঘর থেকেই পুলিশ উদ্ধার করে ৯টি একনলা পাইপগান, ৪টি নির্মীয়মান বন্দুক, ৭টি ওয়ান শাটার, স্প্রিং আয়রন রড, ড্রিল মেশিন হ্যান্ড ড্রিল, হাতুড়ি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ। এই অস্ত্র কারখানা একা রাজকুমারই চালাতো নাকি এর পিছনে অন্য কোনও চক্র কাজ করছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, জীবনতলা থানা এলাকার তাম্বুলদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিবিরাবাদে এই কারখানার হদিশ পুলিশের কাছে গোপন খবরের সূত্রে এসেছিল। তারপর বেশ কিছু দিন নজর রাখা হয় ওই কারখানার ওপর। পুলিশ সব থেকে অবাক হয় এটা দেখে যে, গ্রিল কারখানার আড়ালে মাটির নীচে পাতালঘরে এমন অস্ত্র কারখানা রমরমিয়ে চলছে সেটা এলাকার লোকেরা কেউ জানতেনই না। এমনকি এই নিয়ে কেউ কিছু টেরও পায়নি। শুক্রবার রাতে পুলিশ হানা দিতেই তাঁরা চমকে যান
Information source- এই মুহুর্তে
Post A Comment:
0 comments so far,add yours