প্রেমিকার ছবি হাতে নিয়েই আত্মঘাতী (Suicide) প্রেমিক। এমনকি প্রেমিকার বাড়ির পাশেই ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করল স্থানীয়রা। বিজয়া দশমীর পরের দিন এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ দিনজপুর জেলার বালুরঘাটে। শনিবার সকালে পতিরাম থানার ছোট রঘুনাথপুর এলাকায় এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।এনিয়ে বালুরঘাট (Balurghat) থানায় এক তরুণী-সহ বেশ কয়েক জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। এদিকে অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম নেপাল উরাও (২১)। তাঁর বাড়ি বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের চকবাখর এলাকায়। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রী নেপালের পরিবারের দাবি অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে পতিরাম থানার ছোট রঘুনাথপুর এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নেপালের। তা তাঁরা জানতেন। সম্পর্কে মতও ছিল পরিবারের। কিন্তু কিছুদিন ধরে সেই সম্পর্কে চিড় ধরে। সেই সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন নেপাল।
এর পর দশমীর রাত অর্থাত্, শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি নেপাল। পরিবারের লোকেরা খোঁজ খবর করলেও পায়নি তাঁকে। এর পরেই শনিবার সকালে সেই যুবতীর বাড়ির সামনেই গাছে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় নেপালের। পরে পতিরাম ও বালুরঘাট থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে ওই যুবকের হাতে ওই যুবতীর ছবিও ছিল বলে জানা গিয়েছে। শনিবার প্রেমিকা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। অভিযোগ, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যদিও এনিয়ে অভিযোগ ওঠার পর প্রেমিক বা তার পরিবারের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে মৃতের পরিবারের কাকা সঞ্জয় ওরাওয়ে র দাবি, শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ ছেলে বাড়ি থেকে বেরোয়। বলে মেয়েটির বাড়িতে যাচ্ছে। এর পর ওখানে যাওয়ার পর আমরা খোঁজ নিইনি। কিন্তু রাত একটা নাগাদ ওকে ফোনে যোগাযোগ করে পাইনি। ফোন অফ বলে। আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। এর পর সকালে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। তার পর পুলিশ এসে জানাল ওর মৃত্যু সংবাদ।
তিনি আরও যোগ করেন, যার সঙ্গে প্রেম করত ওর জন্য মারা গিয়েছে। এমনকি তাঁর আরও দাবি, যে গামছা গলায় নেপালকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিছে সেটা সে বাড়ি থেকে আনেনি। কোথা থেকে সেটি পেল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। গোটা ঘটনায় মেয়েটির পরিবারের দিকে আঙুল তাঁদের। এদিকে এই ঘটনার কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি অভিযুক্তের পরিবার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours