যার যাতে মজে মন, কিবা হাড়ি কিবা ডোম।' বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, হে প্রণয়দেব, পাশ্চাত্য কবিরা তোমাকে অন্ধ বলিয়াছেন। কথাটা মিথ্যা নয়। তোমার প্রভাবে লোকে প্রিয় বস্তুর দোষ দেখিতে পায় না।
এবার বাস্তবেও সেই ঘটনাই ঘটতে দেখা গেল। কোটিপতির স্ত্রী পালালেন টোটোচালকের সাথে। ভাবছেন তো এ কী কাণ্ড ! সত্যিই এমন ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের খাজরানায়। বাড়ি থেকে স্ত্রী হঠাত্ই নিখোঁজ। পুলিসের কাছে অভিযোগ জানালেন স্বামী। কিন্তু খোঁজ নিয়ে যা জানা গেল, তাতে চোখ কপালে ওঠার উপক্রম। স্ত্রী পালিয়েছেন। তাও আবার কার সাথে? এক টোটোচালকের সাথে। শুধু পালিয়েই যাননি। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, বাড়িতে তাঁর স্বামীর রাখা নগদ ৪৭ লক্ষ টাকা নিয়েই পালিয়ে গেছেন।
ওই গৃহবধূর স্বামী একজন ব্যবসায়ী। বলা যায় একজন বড়মাপের ব্যবসায়ী। ইন্দোরে তাঁর কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। ওই টোটোচালক নাকি তাঁর স্ত্রীকে প্রায়ই বাড়ি দিয়ে যেতেন। টোটোচালক ওই মহিলার থেকে প্রায় ১৩ বছরের ছোট। মহিলার স্বামীর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। তারপর ইমরানের এক বন্ধুর বাড়িতে পুলিস হানা দেয়। সেখান থেকে প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিস সন্দেহ করছে, দুজনের পালানোর পিছনে কি ইমরানের বন্ধুরও হাত আছে? এছাড়া ব্যবসায়ীর স্ত্রী যে ৪৭ লক্ষ টাকা নিয়ে বেরিয়ে গেলেন, তার সিংহভাগ টাকা ওই টোটোচালকের বন্ধুর বাড়িতে কেন ?
গোটা বিষয়টি যেন এক রহস্যের। যদিও এখনও টোটোচালক ও ওই মহিলারব খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিস ইতিমধ্যে তদন্ত চালাচ্ছে। উজ্জয়িনী, জাভরা, খান্ডয়া, রতলমেও তল্লাশি চলছে পুলিসের। আদতে তাঁরা কোথায় পালিয়েছেন, সেই বিষয়টি নিয়েই নজরদারি চালাচ্ছে পুলিস।
কোটিপতির স্ত্রী কোনও জায়গায় যেতে হলে ওই অটো করেই নাকি যেতেন। আবার বাড়িতেও ওই অটোচালক তাঁকে ছেড়ে দিতেন। সেখান থেকেই প্রেমের সূত্রপাত বলে সন্দেহ। নিজের দেরাজে ৪৭ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন ইন্দোরের কোটিপতি ব্যবসায়ী। সেই টাকা নিয়েই অটোচালক প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন গৃহবধূ।
News source - calcuta news / dailyhunt
Post A Comment:
0 comments so far,add yours