ষষ্ঠীর দিন প্রেমিকাকে বাড়িতে নিয়ে আসায় আপত্তি জানান মা ও দিদি। অভিযোগ, সেই রাগে মা, দিদির শরীরে বেপরোয়া ভাবে ব্লেড চালাল এক কিশোর। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট (Balurghat) শহরের দিশারী ক্লাব সংলগ্ন এলাকায়। এই ঘটনায় গুরুতর জখম দু’জনকে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই অভিযুক্ত কিশোর ও তার প্রেমিকাকে আটকে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর খবর দেওয়া হয় বালুরঘাট থানার পুলিশকে। পরে পুলিশ এসে দু’জনকে থানায় নিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে দু’টি ব্লেডও উদ্ধার করেছে। পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা নাকি হঠকারিতায় এমন ঘটনা ঘটাল ওই কিশোর তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত কিশোরের বয়স ১৭ বছর। সে উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া। প্রেমিকা বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী। অভিযোগ, ওই কিশোর প্রায়ই মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এদিকে দু’জনেরই বয়স যেহেতু ১৮ পার করেনি, তাই এ নিয়ে বার বার আপত্তি জানায় পরিবারের লোকজন।
এরই মধ্যে সোমবার বিকেলেও একই ঘটনা ঘটে। পুজোর সন্ধ্যায় ঘুরতে বেরোনোর আগে
ওই কিশোরীকে বাড়িতে নিয়ে আসে কিশোর। এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিল তার মা। অভিযোগ, প্রতিবাদ করায় কিশোর তার মা ও দিদির উপর বেপরোয়াভাবে ব্লেড চালায়। এমনও অভিযোগ, প্রেমিকাই বলে প্রেমিককে ব্লেড চালাতে। গুরুতর জখম হন দু’জন। জখম অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তাঁরা। এদিকে চিত্কার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। অভিযুক্ত যুগলকে আটকে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জখম কিশোরের মা ও দিদির মাথায় ও কপালে সেলাই পড়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কিশোরে বাবা নবকুমার সাহা জানিয়েছেন, তিনি ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখেন স্ত্রী ও মেয়ের শরীর বেয়ে গল গল করে রক্ত বের হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের চিকিত্সার জন্য বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। নবকুমারবাবু জানান, ছেলের ওই কিশোরীকে পছন্দ করে। বিয়ে করতে চায়। কিন্তু তাঁরা তাতে রাজি না হওয়ায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন। এই ঘটনায় মূল দুই অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours