মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন পুজোর পর স্কুল খুলতে পারে। তবে কবে থেকে স্কুল খোলা হবে সেই বিষয়ে কিছু বলা না গেলেও এখন থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলির স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিচ্ছে বিকাশভবন। বিশেষ করে গ্রামের দিকে যে স্কুলগুলিতে ঝড় ও করোনায় দীর্ঘ দুইবছর বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হয়েছে সেই স্কুলগুলোকে সারানোর বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে বিকাশ ভবন।গ্রামের দিকের অনেক স্কুলভবনেরই ক্ষতি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে। বহু স্কুলের জানলা-দরজা ভেঙেছে ঝড়ের দাপটে। কোথাও আবার বিল্ডিংয়ে ফাটল ধরেছে। এই ক্ষয়ক্ষতি সারাতে কত টাকা লাগতে পারে, তা স্কুলগুলোর কাছে জানতে চেয়েছিল বিকাশ ভবন। এমনকি জেলাশাসকদের খরচের তালিকা পাঠাতে বলল বিকাশ ভবন। ১৫ সেপ্টেম্বর ছিল সেটা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এরই মধ্যে সেই তালিকা হাতে পেয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ করে বিকাশ ভবন।
জানা গিয়েছে, সেই জেলাশাসকদের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী কোনও স্কুলে ৭০ হাজার, আবার কোনও স্কুলে ১ লক্ষ টাকা প্রয়োজন সারানোর জন্য। এই রকম ৬৪৬৮ টি স্কুল টাকা পাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, ২৯ অক্টোবরের মধ্যে স্কুলগুলিতে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ২৬ অক্টোবরের মধ্যে কোন স্কুলে বর্তমানে কত সংখ্যক শিক্ষক রয়েছেন, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের আধারের তথ্য সহ একাধিক নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলোকে। এদিকে সংক্রমণ ফের বৃদ্ধি পাওয়ায় স্কুল কতটা খুলবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে স্কুল খোলার আগে আবশ্যিকভাবেই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ব্যাপারে আলোচনা করা হবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours