আহিরীটোলার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার বিপত্তি! প্রবল বৃষ্টিতে শহরের বুকে ভেঙে পড়ল বাড়ি। যার ফলে এখনও পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এই ঘটনাতে বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর আওয়া যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

ইতিমধ্যে ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভেঙে পড়া জায়গাতে কেউ আটকে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে বিভিন্ন সূত্রে খবর, ভেঙে পড়া অংশে বেশ কয়েজনের আটকে রয়েছে। যদিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের মেছুয়া পট্টিতে। জানা গিয়েছে, ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছেন কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা। কীভাবে ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য গত কয়েকদিন আগে রবল বৃষ্টিতে আহিরিটোলাতে বিশাল একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে। আটকে পড়ে বেশ কয়েকজন। এই ঘটনাতে প্রশ্নের মুখে পড়ে কলকাতা পুরসভা। যদিও এই বিষয়ে পুরো দায় ভাড়াটিয়া এবং মালিকঅক্ষের উপরেই চাপান রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভা কিছু করতে পারছে না বলেও দাবি তাঁর।

আর এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের একবার শহরের বুকে ভেঙে পড়ল বাড়ি। বাড়িটি ব্যস্ত রাস্তা রবীন্দ্র সরণীর ধারেই। উত্‍সবের মরশুমে রাস্তায় বহু মানুষের যাতায়াত। আর রাস্তার উপুরেই ভেঙে পড়ে বিপজ্জনক বাড়িটির তিনতলার কিছু অংশ। সেই সময় বাড়ির নীচে যাচ্ছিল বেশ কয়েকজন। তাঁদের উওরেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাড়িটি। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দু'জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকেরা।

জানা গিয়েছে, ওই রাস্তা ধরে স্কুটি চেপে যাচ্ছিলেন বেনিয়াপুকুরের বাসিন্দা মহম্মদ তৌফিক। গুরুতর চোট পেয়েছিলেন তিনি। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। বাইক আরোহী দমদমের বাসিন্দা রাজু গুপ্তারও মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও দুজন।

স্থানীয় মানুষজনের দাবি, দীর্ঘদিন ধড়ে এই বাড়িটির বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আর এরফলেই এদিনের এই ঘটনা বলে দাবি স্থানীয় মানুষজনের। তাঁদের দাবি, এলাকাতে বেশ কয়েকটি এমণ বাড়ি রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে বিপদ ঘটে যেতে পারে।

ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। চলে উদ্ধারকাজ। তবে এই ঘটনাতে ভাঙা বাড়ির মধ্যে কেউ আটকে ররয়েছে কিনা তা জানতে উদ্ধারকাজ চলছে। বাফতি লাইট ফেলে চলছে উদ্ধারকাজ। তবে ওই অঞ্চলে অনেক পুজো হয়। হঠাত করে এই ঘটনাতে রাতারাতি আটকে দেওয়া হয় রবীন্দ্র সরনী। যার ফলে একটা অংশে তীব্র যানজট তৈরি হয়।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours