বিয়ের মাত্র এক বছর হয়েছিল। কিন্তু উঠতে বসতে তাঁকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করত বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকবার বিবাদ মিটেছে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায়। তবে বছর কুড়ির মেয়েটির এমন পরিণতি হবে তা দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি চুমকির বৃদ্ধ বাবা। তাঁর নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে পিটিয়ে মেরে (Murder) ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।ঘটনায় হতবাক বৃদ্ধ। এলাকায় ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।
মালদহ (Maldah) জেলার ইংরেজবাজার এলাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে পিটিয়ে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়িতেই। অভিযোগ উঠেছে, স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। নির্মম এই ঘটনাটি ঘটনায় মালদহের ইংরেজবাজার থানার চণ্ডীপুর খাসকোল এলাকায় জোর চা়ঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
মৃত গৃহবধূর নাম চুমকি মণ্ডল। তাঁর বয়স মাত্র ২০ বছর। অভিযুক্ত স্বামীর নাম চিরঞ্জিত্ মণ্ডল। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুতনি থানা এলাকার বাসিন্দা বিমলের সঙ্গে বিয়ে হয় বছর খানেক আগে। ইংরেজ বাজার থানার চণ্ডীপুর খাসকোল এলাকার বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর চিরঞ্জিত্। বিয়ে হয় গত একবছর আগে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনার অভাব ছিল। তাছাড়া মাঝেমধ্যেই পারিবারিক বিবাদ লেগেই থাকত।
দীর্ঘদিন ধরেই ওই গৃহবধূকে মদ্যপ অবস্থায় এসে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত তার স্বামী বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন। রবিবার দুপুরে গৃহবধূর বাপের বাড়িতে খবর পৌঁছয় তাঁদের মেয়ে আর নেই! গ্রামের লোকজনের মারফত এই খবর পেয়ে মেয়ের বাড়ি ছুটে যান বাবা। দেখেন মেয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। আর তার স্বামীর বাড়ির লোকজন পালিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় স্বামী-সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন চুমকির বাপের বাড়ির লোকজন।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, তাঁরাই ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূকে। কিন্তু তাঁর শ্বশুরবাড়ির কাউকে বাড়ির ত্রিসীমানায় দেখা যায়নি। এর পর তাঁরাই খবর দেন চুমকির বাপের বাড়িতে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই চুমকিকে খুন করেছে বলে অভিযোগ তাঁদের। অন্যদিকে মৃত মেয়ের বাবা-ও জানান, পারিবারিক অশান্তি হত তিনি খবর পেতেন। কিন্তু তার পরিণতি যে এমন হবে তা তিনি দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। কী কারণে গৃহবধূর উপর এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা হল, সেটাও জানা যায়নি। এদিকে পলাতক স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours