করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তেই পরিস্থিতি সামলাতে কোমর বেঁধে নামল প্রশাসন। রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকের পর কোভিড বিধিনিষেধ কঠোরভাবে প্রয়োগের নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব। রাজ্যের প্রশাসনিক দফতরের তরফে সাফ বার্তা, রাত্রিকালীন বিধিনিষেধে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া চলবে না।আর যে বার্তার প্রয়োগও কার্যত শুরু হয়ে গেল শনিবার থেকেই। মাস্ক না পরায় উত্তরপাড়া, ডানকুনি থেকে গ্রেফতার হলেন প্রায় শতাধিক। পাশাপাশি বেলাগাম সংক্রমণে রাশ টানতে ফের কনটেনমেন্ট জোন ফেরানোর নির্দেশ দিল নবান্ন। তার প্রথম ধাপ হিসেবে পজিটিভ রোগীদের চিহ্নিত করার কাজে জোর দেওয়া হয়েছে।
করোনা বিধি শিকেয় তুলে দুর্গাপুজোয় বাঁধনভাঙা উচ্ছ্বাসের মাশুল যে দিতে হবে, তা নিয়ে চিকিত্সক থেকে বিশেষজ্ঞ, সতর্ক করেছিলেন সকলেই।শনিবার সেই আশঙ্কাই যেন প্রতিফলিত হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে। জুলাইয়ের পর রাজ্যে ফের একবার এক হাজার ছুঁইছুঁই দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এই পরিস্থিতিতে ফের কনটেনমেন্ট জোন ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। উত্সবের মরশুম শেষে এসপ্তাহের শুরু থেকেই দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে থাকে। চলতি সপ্তাহে দিন যত এগিয়েছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণও। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। মহানগর থেকে জেলা, করোনার থাবা থেকে ছাড় পাচ্ছে না কেউ।
এই প্রেক্ষাপটে শনিবার বিকেলে সব জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে রাজ্যজুড়ে কঠোরভাবে কনটেনমেন্ট জোন তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্র্যাক করতে বলা হয়েছে করোনা পজিটিভ রোগীদের। সেই সঙ্গে বাধ্যতামূলক হচ্ছে মাস্ক পরা। দ্রুত রাত্রিকালীন কার্ফু বলবত্ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভ্যাকসিনেশনের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। সেই সঙ্গে সব হাসপাতালের কোভিড পরিষেবা খতিয়ে দেখতেও বলা হয়েছে। শনিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। এদিকে, রাত সাড়ে ১০টার পরে রেস্তোরাঁ-পানশালা বন্ধ রাখা ও ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে রেস্তোরাঁ খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে মর্মে কলকাতার সমস্ত থানাকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। পাশাপাশি আজ থেকেই ফের শহরজুড়ে শুরু হয়েছে নাকা চেকিং।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours