প্রকাশ কালি ঘোষাল, হাওড়াঃ- আমরা সাধারণত বধূ নির্যাতনের কথা বেশিরভাগ শুনে থাকি কিন্তু স্বামী নির্যাতন এটা সচরাচর শোনা যায় না এমনই অভিযোগ পাওয়া গেল সাঁকরাইল থানা অন্তর্গত আন্দুলে । এবার স্বামী নির্যাতন সরাসরি অভিযোগ স্ত্রী মুনমুন রায় ও তার পরিবারের উপর।গত 18 বছর আগে বিয়ে হয়েছিল কালিপদ রায় ( ৪০) ও মুনমুন রায়ের সাথে বিয়ে হয়, বছর 13 একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের। বেশ কয়েক বছর আগে থেকে সংসারের চাওয়া পাওয়া নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায় স্ত্রী মুনমুন রায় মেয়েকে নিয়ে। বাড়ির লোকের কাছ থেকে জানা যায় কালিপদ বাবু পেশায় অঙ্কন শিল্পী ও সাংস্কৃতিক প্রবন মানুষ ছিলেন। তার এই শিক্ষাকতা করে যা আয় করতেন স্ত্রীর চাহিদা মেটাতে পারতেন না এই নিয়ে প্রায় অশান্তি হতো দুজনের মধ্যে।
স্ত্রীর অশান্তির জেরে একটি বেসরকারি কারখানায় কাজ করেন। দুর্গাপূজার পরের দিন একাদশীর দিন মেয়েকে দেখতে বের হন তারপর আর বাড়ি ফেরা হয়নি কালিপদ রায়ের । পরিবারের কাছ থেকে জানা যায় কালিপদ রায় বাড়ির সেজ ছেলে ছিলেন তার মা কানন রায় ও তার পরিবারের ভাইয়েরা সরাসরি অভিযোগ করলেন স্ত্রী মুনমুন রায় ও তার বাপের বাড়ি দিকে। স্ত্রী মুনমুন রায় কালিপদ বাবুর গায়ে তেল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাকে হত্যা করেছে।
ওই ঘটনার দিন কালিপদ বাবুর মা ও ভাইরা মিলে চিকিত্সার জন্য সাঁকরাইল ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় ওইখান থেকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে সেখানে কিছুদিন চিকিত্সার চলার পর অবস্থার অবনতি হওযায় কলকাতা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় । পরিবারের অভিযোগ এই টানা চিকিত্সা চলাকালীন স্ত্রী একেবারের জন্য দেখতে আসেনি। চিকিত্সা চলাকালীন কালিপদ রায় তার পরিবারকে বলে যান তার স্ত্রী এবং তার ভাইরা মিলে তেল দিয়ে আগুন জ্বালিয়েছে। এতদিন জীবন যুদ্ধের মধ্যে অবশেষে 29 শে অক্টোবর ভোর চারটের সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এরপর পরিবারের লোকেরা মুনমুন রায়ের বিরুদ্ধে সাঁকরাইল পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন। সূত্রের খবর অভিযোগ পাওয়ার পর স্ত্রী মুনমুন রায় কে গ্রেফতার করেন আজ তাকে হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন । মুনমুন রায় আন্দুল পূর্বপাড়া খালপাড় নামক জায়গায় ভাড়া থাকতেন। যে স্থানে ঘটনাটা ঘটেছিল এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান দুজনের মধ্যে তারা বাহিরে কথাবার্তা বলছিলেন হঠাত্ তার সারা শরীরে আগুন জ্বলা অবস্থায় ছুটে আসে বাড়ির দিকে ওই প্রত্যক্ষদর্শী নিজে জল দিয়ে আগুন নেভান।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours