প্রথম পর্যায়ে ২ কোটি ৪৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৮৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছ বলে খবর।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে যে সমস্ত মহিলারা আবেদন করেছেন, তাঁদের আবেদন খতিয়ে দেখার পর সঠিক উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ পৌঁছে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। পুজোর আগেই যত বেশি সংখ্যক উপভোক্তাকে এই সাহায্য দিতে জোরকদমে কাজ শুরু করা হয়েছিল। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন, পুজোর আগেই মহিলাদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। সেইমতো দুয়ারে সরকার শিবিরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদনপত্র জমা নেওয়ার পাশাপাশি শুরু হয় আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ। দ্রুত সেই কাজ সেরে ফেলা হয়েছে।
নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, দুয়ারে সরকারের শিবিরে এসেছিলেন ৩ কোটি ৫৮ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭৯১ জন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন জমা পড়ে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ ২৬ হাজার ৩৬৮টি। প্রায় দেড় কোটি উপভোক্তাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে পুজোর আগেই প্রায় ৮০ লক্ষ মহিলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ সাহায্য পৌঁছে গিয়েছে। এই প্রকল্পে এসসি, এসটি এবং ওবিসি'রা পাবেন এক হাজার টাকা করে এবং সাধারণ মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যাবে পাঁচশো টাকা। সেইমতো টাকা পাঠানোর কাজ চলছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, পুজোর পর বাকি উপভোক্তাদেরও অর্থ সাহায্য যাতে পৌঁছে যায়, সেইমতো কাজ চলছে। তবে চলতি মাসের শেষে রাজ্যের চার জেলায় চার আসনে ভোট। দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দা, গোসাবায় ভোট থাকায় কোচবিহার, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সরকারি প্রকল্পের অর্থ সাহায্য দেওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে ভোটের পর এই চার জেলার মহিলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ পৌঁছে যাবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours