শিশুদের মধ্যে জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে আরামবাগ মহকুমায়। দিন সাতেক ধরে মহকুমা হাসপাতাল এবং ব্লক হাসপাতালগুলিতে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে ভিড় বাড়ছে অভিভাবকদের। এই পরিস্থিতিতে গ্রামগঞ্জে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে।
মহকুমা হাসপাতালের সুপার সত্যজিত্ সরকার অবশ্য বলেন, 'উদ্বেগ বা আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।শীত পড়ার মুখে অন্যান্য বছরের মতোই কিছু শিশুর সর্দি-কাশির সঙ্গে জ্বর হচ্ছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে সবাই। খুব কম শিশুর ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া বা টাইফয়েড মিলছে।''
মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে প্রতিদিন গড়ে ২০-৩০টি শিশু জ্বর নিয়ে ভর্তি হচ্ছে। শুক্রবার ভর্তি ছিল ৮৬টি শিশু। শনিবার সকালে কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়ার পর দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি শিশুর সংখ্যা ছিল ৫১। মহকুমা হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ সুব্রত ঘোষ জানান, এ দিনও জ্বর, সর্দি-কাশির উপসর্গ থাকা শিশুদের ভর্তি করা হয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এই জ্বর স্বাভাবিক। শিশুকে সুস্থ রাখতে মায়েদের সচেতন করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মহকুমার ৬টি ব্লক হাসপাতালেও প্রতিদিন গড়ে ৬-৭টি করে জ্বরে আক্রান্ত শিশুকে ভর্তি করা হচ্ছে। ৫-৭ দিনের মধ্যে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। মহকুমায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ওইসব শিশুদের মধ্যে শতকরা ৫ থেকে ৭ জনের ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া ধরা পড়ছে। টাইফয়েডে শতকরা ৮-১০ জন আক্রান্ত বলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বার ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার প্রবণতা কিছুটা বেশি। কারণ হিসাবে তাঁদের বক্তব্য, সদ্য বন্যার পর বহ জায়গায় জল নিকাশি বিঘ্নিত হওয়ায়
জমা জলে মশার উপদ্রব বেড়েই এই হাল। হাসপাতালে শিশু রোগীর ভিড় নিয়ে তাঁদের ব্যাখ্যা, প্রতি বছর একই রকম জ্বরে যে সব শিশুদের বাড়িতে রেখেই চিকিত্সা করেছেন অভিভাবকরা, এ বার করোনা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জেরেই তাঁরা কোনও ঝুঁকি নিচ্ছেন না। জ্বর হলেই হাসপাতালে চলে আসছেন। স্বাস্থ্য দফতরও তা-ই চাইছে। পঞ্চায়েতের প্রতিটি সংসদ এলাকার বাড়ি ধরে কোথাও জ্বর হচ্ছে কি না, তা দেখতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours