নদীতে ভাসছে একের পর এক মৃতদেহ,কোনো দেহ মানুষের তো কোন আবার জীবজন্তুর। তবে সমস্ত দেহ এক জায়গায় আটকে পড়াই চরম দুরবস্থা এলাকাবাসীর। PHE দপ্তরের জল উত্তোলন কেন্দ্র লাগোয়া একেরপর এক মৃতদেহ আটকে থাকায় চরম সমস্যায় নদী তীরবর্তী পরিবারগুলি। উদাসীন PHE দপ্তর বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।এমনই ঘটনা সামনে এসেছে মালদার মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর শংকরটোলা এলাকায়।এই পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী। শংকরটোলা এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে ফুলাহার নদী।এই নদী দিয়ে প্রতিনিয়ত ভেসে যাচ্ছে একের পর এক মৃত মানুষ ও জীবজন্তুর দেহ। কি যে সমস্ত দেহ আটকে পড়েছে নদীর তীরে PHE দপ্তরের জল উত্তোলন এলাকায়। পছন্দটা দেহ আটকে পড়া চরম সমস্যায় পড়েছেন নদী তীরবর্তী কয়েকশো পরিবার।
দুর্গন্ধ ও একের পর এক দেহে কার্যত দুর্বিষহ অবস্থার রয়েছে এলাকাবাসীর। p.h.e. দপ্তরকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এলাকাবাসী জানালেও উদাসীন মনোভাব রয়েছেন দপ্তরের বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়ে মৃতদেহগুলি সরিয়ে দেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর। এই নদী লাগোয়া রয়েছে জনসাস্থ কারিগরি দপ্তর এর আর্সেনিকমুক্ত অপরিশোধিত পানীয় জল উত্তোলন কেন্দ্র।
এই নদী থেকেই জল তুলে p.h.e. দপ্তর গ্রামগঞ্জ শহর বাড়ি বাড়ি পৌঁছাচ্ছে। জল উত্তোলনের জন্য নদীতে যেটি বানানো হয়েছে। সেই যেটির চারিপাশ জুড়ে এখন মানুষ সহ জীবজন্তুর দেহ আকড়ে ধরে রয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, p.h.e. দপ্তর এই নদী থেকেই জল তুলে সেই জল জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছচ্ছে।
আর গোটা পরিস্থিতিতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এলাকাজুড়ে।মৃতদেহের দুর্গন্ধে এলাকাজুড়ে রোগ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। বারংবার PHE দপ্তরকে জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।ফলে দ্রুত প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণ করুক এবং এই এলাকা থেকে মৃতদেহগুলি সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক বলে দাবি এলাকাবাসী।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours