মদ খাওয়া নিয়ে নিত্য অশান্তি লেগেই ছিল। পারিবারিক বিবাদের জেরে শেষমেশ রাতের বেলায় ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের গোবিন্দপুরে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিস।অন্যদিকে গুরুতর জখম অবস্থায় স্বামী বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
জানা গিয়েছে, কুমারগঞ্জ ব্লকের মোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা লোকনাথ মার্ডি (২০)। পেশায় রাজমিস্ত্রি লোকনাথ মাস দুয়েক আগে সোনালী হাঁসদাকে (পরিবর্তিত নাম) বিয়ে করে। বিয়ের আগে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও ছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে ওই দম্পতির মধ্যে বিবাদ লেগে থাকত।
অভিযোগ, সোমবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীতে বচসা বাধে। বিবাদ চরমে পৌঁছলে ওই দিন রাতেই ঘুমানোর সময় দা দিয়ে স্বামী লোকনাথ মার্ডির পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় স্ত্রী সোনালী হাঁসদা। লোকনাথের চিত্কার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে প্রথমে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।অন্যদিকে, এই ঘটনায় মঙ্গলবার অভিযুক্ত স্ত্রী ও শ্বশুরের নামে কুমারগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন লোকনাথ মার্ডির বাবা লক্ষ্মণ মার্ডি। অভিযোগের ভিত্তিতে সেদিনই শ্বশুর বিমল হাঁসদাকে গ্রেফতার করে পুলিস। এরপর বুধবার বালুরঘাট থানায় আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত স্ত্রী সোনালী হাঁসদা। আজ সকালে বাড়ি থেকে ব্যবহৃত দা-টিও উদ্ধার করেছে পুলিস। ওদিকে আজ ধৃতদের বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৮ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours