ক্রমশই কী সামাজিক অবক্ষয়ের দিকে এগিয়ে চলেছি আমরা? বর্তমান পরিস্থিতিতে কাউকেই বিশ্বাস করা সম্ভব নয়। আর সব থেকে বড় প্রশ্ন প্রতিহিংসা যখন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তখন সেই আক্রোশকে দমিয়ে রাখা অনেকটাই কঠিন। শুক্রবার, মহারাষ্ট্রের (Maharastra) ঘটনা একই সঙ্গে নৃশংসতা ও প্রতিহিংসার নজির স্থাপন করেছে। নিজেরই প্রতিবেশীর ওপর ছুরি নিয়ে চড়াও হলেন এক ব্যক্তি।এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে ছুরি আঘাতে ২ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং একই পরিবারের ৩ শিশু সহ ৪ জন আহত। পুলিশ সূত্রে খবর মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডিতে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গিয়েছে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পিছনে কারণ সাধারণ ঝগড়া। ঝগড়া থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। ভিওয়ান্ডির (Bhiwandi) গাইবি নগর এলাকার এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ৪৫ বছর বয়সী মহম্মদ আনসারুল হক লোকমান আনসারি (Mohammad Ansarul Haque Lukman Ansari,) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শান্তি নগর থানার (Shanti nagar Police Station) এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড সংহিতা (Indian Penal code) অনুযায়ী খুনের মামলার পাশাপাশি শিশু নির্যাতনের মামলাও রুজু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর মৃত দু’জন হলেন, ৪২ বছর বয়সী কামরুজমা আনসারি (Kamruzma Ansari) ও ৩৫ বছরের ইমতিয়াজ মহম্মদ জুবের (Imtiaz Mohammad Juber Khan) খান । এই ঘটনায় আহতরা সকলেই কামরুজমা আনসারির পরিবারের সদস্য। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে আনসারির পরিবারে সদস্য এক মহিলা কয়েকদিন আগেই অভিযুক্তের সঙ্গে ঝগড়া চলাকালীন তাঁকে অপমানজনক কথা বলেন। আদতে তাঁরা প্রতিবেশী। সেই ঘটনার সূত্রেই শুক্রবার সকালেই অভিযুক্ত আনসারিকে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। আক্রমণের সময় আনসারি তাঁর বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। ইমতিয়াজ খান বাধা দিতে এলে অভিযুক্ত তাঁকেও রেয়াত করেননি। দুজনেই ঘটনাস্থলে মারা যান। শোরগোল শুনে আনসারির পরিবারের সদস্যরা সেখানে চলে আসেন এবং আততায়ীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁরাও যখম হন। এই ঘটনার পর এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা তদন্ত করে দেখছে, এই খুনের ঘটনার পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে কিনা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours