বাংলাদেশে পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্রের প্রথম রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বা চুল্লি আজ রবিবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কাজ সম্পন্ন হলে রূপপুর কেন্দ্রে দুটি ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন হবার কথা রয়েছে।
ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন "আমাদের যেটা লক্ষ্য বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া । অর্থাত্ আমরা এখন পরমানু শক্তির একটা অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আজকে আমরা একটা স্থান করে নিতে পারলাম"।
তিনি বলেন "এবং সেটা শান্তির জন্য, এটাই বাস্তবতা, এটা অনেক গুরুত্বপূর্ন। পারমানবিক শক্তি আমরা আমাদের শান্তির জন্য ব্যবহার করছি। অর্থাত্ বিদ্যুত উত্পাদন হবে, সেই বিদ্যুত্ গ্রাম পর্যায়ে মানুষের কাছে যাবে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হবে"।
পারমাণবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্র চালুর বা কমিশনিং প্রক্রিয়ায় এই চুল্লী স্থাপন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরমাণু বিজ্ঞানীরা রিএ্যাক্টর প্রেসার ভেসেলকে পারমানবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্রের 'হার্ট বা হৃত্পিণ্ড' বলে থাকেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন "আমরা একশোটা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। এসব জায়গা শিল্পায়ন হবে। যত বেশি শিল্পায়ন হবে তত বেশি বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাবে। এবং সেটাকে মাথায় রেখেই বিদ্যুত্ উত্পাদন এবং সঞ্চালন এর পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি"।
রূপপুরের এই পারমাণবিক চুল্লি নির্মিত হয়েছে রাশিয়ায়। ভিভিআর-১২০০ মডেলের এই রিয়্যাক্টরে পরমাণু জ্বালানি পুড়িয়ে মূল শক্তি উত্পাদন হবে এবং ১২শ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন সম্ভব হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, রূপপুরের প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালের মধ্যে বিদ্যুত্ উত্পাদন শুরু করতে পারবে বলে ধারণা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
BBC রূপপুর বিদ্যুত্ কেন্দ্রের ত্রিমাত্রিক নকশা
রূপপুর কেন্দ্রে দুটি ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন হবে। এই বিদ্যুত্ কেন্দ্র নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ ধরা হয়েছে। বাংলাদেশে একক প্রকল্প হিসেবে এটি সবচেয়ে বড় কোনো অবকাঠামো প্রকল্প। মহামারির মধ্যেও এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২৫ হাজার শ্রমিক দিনরাত সেখানে কাজ করছেন।
বিদ্যুত্ কেন্দ্র তৈরিতে সহযোগিতা দিচ্ছে রাশিয়ার আনবিক শক্তি কর্পোরেশন রোসাটম। তারাই প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহ করবে এবং ইউরেনিয়াম জ্বালানি ব্যবহারের পর বর্জ্য ফেরত নিয়ে যাবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours