বৃহস্পতিবারই ফেসবুকের অভিভাবক সংস্থার নাম বদলের ঘোষণা করেছেন মার্ক জুকারবার্গ। এতদিন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারের অভিভাবক সংস্থা ছিল ফেসবুক। এবার থেকে অভিভাবক সংস্থার নাম হল- মেটা৷ আর এই নাম বদল নিয়েই জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে হাসির জোয়ার। খোদ টুইটারও এই নাম নিয়ে 'মজা' করেছে।
টুইটার ফেসবুকের নাম পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, "BIG NEWS lol jk still Twitter"। শুধু টুইটার নয় নেটিজেনরাও এই 'মেটা' নাম নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হ্যামবার্গার চেইন সংস্থা উইন্ডেস টুইটে লিখেছে, "Changing name to meat" । প্রসঙ্গতই তারা মাংসের ব্যাপারি, তাই Meta নামের অক্ষর রদবদলের মাধ্যমেই অনুরাগীদের Meat আস্বাদনের 'বিজ্ঞাপন' করেছেন এভাবেই।
শনিবার রাজ্যের চার আসনের উপনির্বাচন। আর তার পরের দিন থেকেই লোকাল ট্রেন চলবে স্বাভাবিক নিয়মে। প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার থেকে লোকাল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে মুম্বইয়ে।করোনা পরিস্থিতির আগের অবস্থায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্য এবং পশ্চিম রেল। লোকাল ট্রেনকে মুম্বইয়ের লাইফলাইন বলা হয়। বৃহস্পতিবার থেকে মধ্য রেল ১,৭৭৪টি এবং পশ্চিম রেল ১,৩৬৭টি লোকাল ট্রেন চালাবে।
লোকাল ট্রেনকে এই রাজ্যেরও লাইফলাইন বলা যায়। প্রতি দিন লক্ষ লক্ষ মানুষ হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখা দিয়ে যাতায়াত করেন। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাতেও তারা লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য তৈরিই ছিল। এখন রাজ্য সরকার বিধি নিষেধ তুলে নেওয়ায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ''গত মে মাস থেকে রাজ্য সরকারের নির্দেশেই লোকাল ট্রেন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। রাজ্য সরকারের অনুমতি মেলায় এখন রবিবার থেকে তা চালু হবে। আমরা আগে থেকেই তৈরি ছিলাম।'' একই সঙ্গে তিনি বলেন, ''সব লোকাল ট্রেন চালু হয়ে গেলেও রেলের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি থাকবে যাতে কেউ যেন খুব জরুরি কারণ ছাড়া ট্রেন সফর না করেন।''
এখন সব শাখাতেই কিছু কিছু স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল। সাম্প্রতিক কালে তার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিধি নিষেধ জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তবে সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের দিনই স্বাভাবিক হচ্ছে লোকাল ট্রেন। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রাজ্যে স্কুল-কলেজ খোলা হবে। আর সেই ঘোষণার পরেই রেলকর্তারা আশা করছিলেন খুব তাড়াতাড়ি ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। শুক্রবার বিকেলে সেই খবর মিলল।