একসময় ছিল না মাথা গোঁজার ছাদ, সেই মনোজই এখন প্রতিমাসে কিনতে পারেন দু-দুটো বাড়ি! কীভাবে পাল্টাল জীবন?
ঠিক কত বাড়ি ভেঙেছে মুর্শিদাবাদ, সামনে এল সংখ্যাটা
জানালা দিয়ে ঢুকে ব্লেড দিয়ে কাপড় কেটে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ
ক্ষতি হবে ১৩ হাজার কোটির! এবার ‘সন্ত্রাসে মদত জোগানোর’ ঠেলা বুঝবে পাকিস্তান, মোক্ষম জবাব ভারতের
এবার জম্মু-কাশ্মীরে সেনা নার্সিং কলেজের ওয়েবসাইট হ্যাক করল পাকিস্তানের হ্যাকাররা
দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর যাবত্ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার প্রত্যন্ত সুন্দরবনের কুলতলি থানার অন্তর্গত "জামতলা ভগবান চন্দ্র উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়" এর প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মভার সামলেছেন সোনারপুর হরিনাভির শান্তনু ঘোষাল।প্রধান শিক্ষক শান্তনু ঘোষাল অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যাবেন।এমন খবর বিদ্যুত্গতিতে পৌঁছায় এলাকায়।বর্তমানে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও মঙ্গলবার স্কুল কমিটি ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা জানতে পারেন তাঁদের প্রিয় শিক্ষকের বদলির ঘটনা।
কয়েকশে ছাত্র ছাত্রী,অভিভাবক বিদ্যালয়ে হাজীর হয়। প্রধান শিক্ষক কক্ষের সামনে পথ আটকে বসে পড়েন। শান্তনু বাবুর সহকর্মীরা বারে বারে তাঁকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেন বিদ্যলয়ে থেকে যাওয়ার জন্য। দীর্ঘদিনের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলানোর দক্ষতা শান্তনু ঘোষালের ছিল।সর্বদা পরিবেশ পরিস্থিতি তিনি সামাল দিয়েছেন ।একদা তাঁরই সময়ে ২০১৬ সালে জেলার সেরা বিদ্যালয় বিবেচিত হয়েছিল "জামতলা ভগবান চন্দ্র উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়"। পিছিয়ে পড়া সুন্দরবনের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তিলে তিলে তিনি কলেবরে শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়েছেন অক্লান্ত পরিশ্রম করে।মঙ্গলবার সেই স্কুল থেকে তিনি অন্য স্কুলে চলে যেতে চাইলে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষকের পা জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। পাশাপাশি প্রিয় প্রধান শিক্ষক কে করজোড়ে আবেদন করে বলে 'স্যার আপনি এই স্কুল থেকে অন্যত্র চলে যাবেন না।'
ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকদের করজোড় মিনতি প্রধান শিক্ষকর মনে কতটুকু দাগ ফেলতে পারে সেটা দেখার জন্য চাতকের মতো অপেক্ষায়,ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক সহ সহকর্মীদের।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours