মাঝ অকাশ থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ রাশিয়ার (Russia) সামরিক বিমান। বুধবার পূর্বের খাবারোভস্ক শহরের কাছে উড়ান ভরার সময় আচমকাই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায় বিমানটির।রাশিয়ার জরুরি পরিষেবা মন্ত্রক জানিয়েছে, খাবারোভস্ক বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৩৮ কিলোমিটার দূরে থাকা একটি রাডারে AN-26 বিমানটি শেষ বার ধরা পড়েছিল। স্থানীয় সময় মতে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে ওই সামরিক বিমানটির আর কোনও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। রুশ সরকার সূত্রে খবর, ওই বিমানে মোট ছ'জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বিমানটিকে খুঁজে বার করতে ইতিমধ্যেই একটি Mi-8 হেলিকপ্টার ও গাড়িতে চল্লিশ জনের উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে ওই এলাকায়। কিন্তু গাঢ় অন্ধকার আর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ঠিক ভাবে উদ্ধারকার্য চালানো যাচ্ছে না বলেই জানানো হয়েছে মন্ত্রকের তরফে।
উল্লেখ্য, এর আগেও এমন দুর্ঘটনার জেরে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাশিয়ার বিমান সুরক্ষাবিধি। গত জুলাই মাসে সাইবেরিয়ার আকাশ থেকে আচমকা হারিয়ে গিয়েছিল একটি Antonov An-28 বিমান। তারপর রুশ ইমারজেন্সি মিনিস্ট্রি জানিয়েছিল, SiLA নামের বিমানসংস্থার ওই প্লেনটি যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য একটি ময়দানে অবতরণ করে। বিমানটির সকল যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সমুদ্রে ভেঙে পড়ে রাশিয়ার (Russia) একটি যাত্রীবাহী বিমান। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৮ জন যাত্রীর।
প্রসঙ্গত, এর আগে এমএইচ-১৭ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল গোটা বিশ্বে, শিরোনামে উঠে এসেছিল রাশিয়ার নাম। ওই ঘটনার তদন্তকারীদের অভিযোগ, মালয়েশিয়ার যাত্রীবাহী বিমান এমএইচ-১৭ ধ্বংসের নেপথ্যে রয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। তাঁদের দাবি, যে মিসাইলের আঘাতে বিমানটি খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যায় সেটি সরবরাহ করেছিল রুশ সেনার একটি মিসাইল ইউনিট। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে অ্যামস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরগামী এমএইচ-১৭ যাত্রীবাহী বিমানটির উপর মিসাইল হামলা হয়। পূর্ব ইউক্রেনে ভেঙে পড়ে বিমানটি। ওই ঘটনায় নিহত হন ২৯৮ জন যাত্রী ও চালকদের সবাই। ওই ঘটনায় তীব্র নিন্দার ঝড় বয়ে যায় বিশ্বজুড়ে। অভিযোগ উঠে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। দাবি করা হয়, ইউক্রেনে রুশপন্থী বিদ্রোহীরাই এই কাজ করেছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours