ভোররাতে বিপত্তি। বড়বাজারের বাবুলাল লেনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল একটি বিপজ্জনক বাড়ি (Building Collapse)। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে জখম এক বৃদ্ধা। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থই রয়েছে। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় চলছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ।
বড়বাজারের (Burrabazar) বাবুলাল লেনের ওই বাড়িটিকে আগেই বিপজ্জনক ঘোষণা করেছে পুরসভা। তাই বাড়িতে বর্তমানে কেউই বসবাস করতেন না। শরিকি বিবাদে হয়নি বাড়ি সংস্কারও। তবে চারতলা ওই বাড়িটির নিচতলাটি এখনও গুদাম হিসাবে ব্যবহার হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মালপত্র রাখতেন সেখানে। ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে তিনটে হবে। সেই সময় আচমকা বিকট শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। ঘুমের ঘোরে এমন শব্দ শুনে কার্যত হতভম্ব হয়ে যান তাঁরা। কেউ কেউ আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়েও পড়েন। তাঁরা দেখেন বিপজ্জনক চারতলা বাড়ির একাংশ পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।
ওই বিপজ্জনক বাড়ির আশেপাশে থাকা বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক মহিলাও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে যান। গোঙানির আওয়াজ পেয়েই যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বড়বাজার থানার পুলিশ এবং দমকল। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টা ওই বৃদ্ধাকে (Old Woman) উদ্ধার করা হয়। ভরতি করা হয় হাসপাতালে। বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন তিনি।
দিনকয়েক ধরে বৃষ্টি যেন পিছু ছাড়ছে না কলকাতার। ভারী বৃষ্টি না হলেও মাঝেমধ্যে দু-এক পশলা লেগেই রয়েছে। বৃষ্টির জেরে বিপজ্জনক বাড়িটির অবস্থা আরও সঙ্গীণ হয়ে পড়ে। সে কারণে বাড়িটি ভেঙে পড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তিন বছর আগেও ওই বিপজ্জনক বাড়িটির একাংশ ভেঙে পড়ে। বড়বাজারের বাবুলাল লেন বেশ ঘিঞ্জি। দুর্ঘটনাটি ভোররাতের পরিবর্তে দিনের ব্যস্ত সময়ে ঘটলে বিপদ আরও ভয়াবহ রূপ নিত, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কেন বিপজ্জনক বাড়িটিকে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না, এই ঘটনার পর সে বিষয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। বর্তমানে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে।
সংবাদ প্রতিদিন
Post A Comment:
0 comments so far,add yours