পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের কুয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকায় গত ৫ ই মার্চ পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল জিতেন পূজারী ও কার্তিক নায়েক । ওই দুটি

পরিবারের দুই কর্তার মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে দিন আনা দিন খাওয়া মৃত জিতেন ও কার্তিকের পরিবারের সদস্যরা । স্বামী মরে যাওয়ার পর থেকেই চরম সঙ্কটে দিন কাটছিল ওই দুই পরিবারের সদস্যদের, মুখ ফিরিয়েনিয়েছিল আত্মীয় পরিজনেরা। তাই রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রকল্প সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছিল তারা।
তার কারণ সরকারি পরিষেবা নিতে যাওয়ার মত সামর্থ্য টুকুও নেই তাদের।
বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ এই খবর গিয়ে পৌঁছায় চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ এর কাছে, বিলম্ব না করে বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ ও যুগ্ম বিডিও অভিজিত্‍ পড়িয়া চুপিসারে পৌঁছে যায় জিতেনের স্ত্রী বাসন্তী ও কার্তিকের স্ত্রী বাবলির পরিবারে ।
সাথে করে নিয়ে যায় রাজ্য সরকারের সুবিধা পাওয়ার জন্য সমস্ত কিছু কাগজপত্র, দ্রুত তাদের বাড়িতে পৌঁছে গিয়ে পরিবারের সাথে কথা বলে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে জেরক্স করে নিজেরা বাড়িতে বসে দুয়ারের সরকারের প্রকল্পের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ও লক্ষীর ভান্ডার এর পরিষেবা সহ সমস্ত কিছু প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে ফরম ফিলাপ করে তারা।
এমনকি ওই দুটি পরিবারের হাতে তারা খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন।
ওই দুটি পরিবারের সদস্যদের বিডিও বলেন তারা সব সময় ওই পরিবারের পাশে থাকবেন, এমনকি তিনি যোগাযোগ করার জন্য ফোন নম্বর দেন ।
আর বিডিওর এই ধরনের আসা ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে বাবলি ও বাসন্তী জানায়, তারা জানতোই না যে দুয়ারের সরকার হচ্ছে।
তার কারণ তাদের দিকে কেউ জানায়নি, এমন কি কোন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব তাদের এই পরিষেবার কথা বলেনি।
বিডিও হঠাত্‍ করে তাদের বাড়ীতে যাওয়ায় এই ধরনের সমস্ত কিছু সরকারি সুবিধা পাবার আশায় বুক বেঁধেছে তারা।
এবিষয়ে বিডিও অমিত ঘোষ বলেন, জানতে পারলাম আমার ব্লকে দুটি পরিবার আছে চরম সমস্যায়, এটা হয়তো আমার ভুল, তাই তারা সরকারি সুবিধে থেকে বঞ্চিত ছিল।তাই সমস্ত সরকারি নিয়ম নেমে তাদের পরিষেবা দিতে আমার তাদের বাড়িতে যাওয়া,এটাই আমার কাজ।

সংগ্রহ=


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours