ছয় ছয়টি বিয়ে করেছেন তাঁদের গুণধর জামাই। কিন্তু তাঁদের মেয়ে যে জামাইয়ের কত নম্বর স্ত্রী তা ঘুণাক্ষরেও ঠাওর করতে পারছেন না পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার মহেশপুর এলাকার অনিল দোলইরা। তাঁরা খবর পেয়েছেন, জামাই প্রতিবেশীর এক কন্যাকেও বিয়ে করেছে!




তাই জামাইকে ডেকে গণধোলাই দিলেন সবাই। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। শেষমেশ জামাইকে তুলে দেওয়া হল পুলিশের হাতে।

একটি নয়, দুটো নয় বেশ কয়েকটি বিয়ে করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। অবশেষে সেই যুবককে আটক করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তুলে দিলেন পুলিশের হাতে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার মহেশপুরে। জামাই সন্তোষকে আটক করেছে দাসপুর থানার পুলিশ। ঠিক কী ঘটেছে?

জানা গিয়েছে, দাসপুর থানার সরবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়পুরের বাসিন্দা সন্তোষ (সন্তু দোলই) পেশায় ফুলের ব্যবসা করে। কাজের সূত্রে থাকে হায়দরাবাদ রাজ্যে। অভিযোগ, ভিন রাজ্যে থেকে একের পর এক বিয়ে করেছে সে। সেটা কেউ বলছে চারটে, কেউ বলছে ছয়টি। আর ঘণধোলাইয়ে জামাই স্বীকার করেছে তিনটে বিয়ে করেছে সে।

কয়েক দিন আগে বাড়িতে ফিরেছে সন্তু। তার পর তৃতীয় স্ত্রীয়ের বাপের বাড়ি গিয়েছিল সে। কিন্তু জানত কী অপেক্ষা করছে সেখানে। শুক্রবার রাতে সেখানে যেতেই সন্তুকে ঘিরে ধরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। কিন্তু কেন? শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানতে পারে যে তাঁদের জামাইয়ের আরও ৫ টি বিয়ে রয়েছে। তার মধ্যে একজন তো প্রতিবেশীরই কন্যা! এতেই চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন রাতে খবর দেয় দাসপুর থানায়। মারধরের পর শ্বশুর অনিল দোলইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে জামাইকে আটক করে দাসপুর থানার পুলিশ।

যদিও অভিযুক্ত সন্তোষের দাবি, ৬ টি নয় তিনটে বিয়ে করেছে সে। মারধরে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় সে ক’টা বিয়ে করেছে। তাতে আমতা আমতা প্রথমে বলে বিয়ে একটাই। ফের ‘জামাই আদরের’ চোটে জানায় তিনটে বিয়ে করেছে সে।

এদিকে শাশুড়ি কল্পনা দোলইয়ের কথায়, “তাপস মালের মেয়েকেও বিয়ে করেছিল জামাই। আমার জামাইকে তাদের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। আমরা যথন জিজ্ঞেস করি, ‘কী গো দিদি তোমার মেয়েকে কোথায় বিয়ে দিলে?’ তারা আমার জামাইয়ের নাম বলে। বলে ভাল ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছি!”

তার পর তাঁরা জানতে পারেন গুণধর জামাইয়ের ছয় ছয়টি বিয়ে। শাশুড়ির কথায়, এখন আমার মেয়েকে কত নম্বরে বিয়ে করেছে, ওইটা বলতে পারব না। মনে হচ্ছে দ্বিতীয়, বলেন কল্পনা দেবী। এখন জামাইয়ের শাস্তি চান তাঁরা। এদিকে তাঁরা জানান, প্রথমে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও পরে জামাইকে নিজেরাই ছাড়িয়ে এনেছেন। আগে সালিশি সভায় বিচার চান তাঁরা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দাসপুর থানার পুলিশ।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours