অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল কানাঘুষো। শোনা যাচ্ছিল সিপিআই-তে তাঁর দমবন্ধ হয়ে আসছে। দল তাঁকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। এবার সেই জল্পনার আগুনেই ঘি পড়ল। মঙ্গলবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করলেন কানহাইয়া কুমার। তবে কি এবার কংগ্রেসে! উঠছে সেই প্রশ্ন। শোনা যাচ্ছে, রাহুলের সঙ্গে কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে আলোচনা সেরেছেন জেএনইউ-এর এই প্রাক্তন ছাত্রনেতা। একপ্রকার পাকাই হয়ে গিয়েছে নাকি। ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের মাধ্যমেই নাকি যোগাযোগ হয়েছে রাহুলের সঙ্গে। এই নিয়ে সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক অবশ্য জানিয়ে দিলেন, তিনি কানাঘুষো শুনেছেন। তার বেশি কিছু নয়। রাজার কথায়, 'আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি, যে এই মাসের শুরুতে ন্যাশনাল একজিকিউটিভ বৈঠকে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। তিনি আলোচনাতেও ছিলেন, বক্তব্যও পেশ করেছিলেন।'কানহাইয়া কুমার অবশ্য এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। জেএনইউ-তে ছাত্রজীবন শেষে তিনি যোগ দেন কমিউনিস্ট পার্টিতে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিহারের বেগুসরাই থেকে সিপিআই-এর প্রতীকে প্রার্থী হন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের কাছে বিরাট ব্যবধানে পরাজিত হন। তারপরও অবশ্য বিহার এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বামপন্থীরা তাঁকে তারকা প্রচারক হিসাবে ব্যবহার করেছে। শোনা যাচ্ছে, বিহারের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে আগ্রহী কানহাইয়া। আর এজন্য তিনি কংগ্রেসে যোগ দিতে চাইছেন।
গত তিন দশক ধরে বিহারে জমি হারাচ্ছে কংগ্রেস। তাই কংগ্রেসও চাইছে কানহাইয়ার মতো তরুণ নেতার কাঁধে ভর করে হারানো জমি উদ্ধার। আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন। সেখানে সপা বা বসপার সঙ্গে জোট বাঁধছে না কংগ্রেস। একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেক্ষেত্রে পূর্ব উত্তরপ্রদেশে সুবক্তা কানহাইয়াকে দিয়ে প্রচার করানোর ইচ্ছা রয়েছে দলের।
খবর, গুজরাটের নেতা জিগনেশ মেভানিও কথা বলছেন রাহুল সহ শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। আগামী বছর সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনিও যোগ দিতে পারেন কংগ্রেসে। সেক্ষেত্রে আরও একবার কংগ্রেসের তরুণ ব্রিগেড শক্তিশালী হবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours