গত সপ্তাহের শেষে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল । ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে সেটি সোমবার গভীর নিম্নচাপ হিসেবে ওড়িশা দিয়ে স্থলভূমিতে ঢুকেছে । মৌসম ভবনের খবর অনুযায়ী (West Bengal Weather Forecast), নিম্নচাপটি ওড়িশা হয়ে মধ্যপ্রদেশের দিকে সরে যাওয়ায় গাঙ্গেয় বঙ্গে তেমন জোরালো বৃষ্টি হবে না বলেই মনে করা হচ্ছিল ।
কিন্তু তেমনটা হয়নি । মঙ্গলবার সকাল থেকেই শুরু হয় প্রবল বর্ষণ । সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি এমন জোরালো বর্ষণ অবাক করার মতোই ঘটনা । এমন একটানা বৃষ্টি আর কতদিন চলবে ? আবহাওয়া অফিস (Alipore Weather Office) সূত্রে খবর, আজ, বুধবার দুপুরের পর থেকেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে ।
গভীর নিম্নচাপ শক্তি হারিয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত। উত্তর ছত্তিশগড় ছাড়িয়ে এটির অবস্থান পূর্ব মধ্যপ্রদেশে। পাশাপাশি গুজরাতে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। যে ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি অক্ষরেখা উপরের নিম্নচাপ পর্যন্ত বিস্তৃত। শুক্রবার উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে নতুন করে ঘূর্ণাবর্ত। যেটি উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম দিকে এগিয়ে ওড়িশা ও বাংলা উপকূলের দিকে আসবে শনি এবং রবিবার।
কলকাতায় আজও মূলত মেঘলা আকাশ। দফায় দফায় হালকা মাঝারি বৃষ্টি। কার্যত ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি। বেলার দিকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।আজ, বুধবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি নিচে, ২৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল, মঙ্গলবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের ৫ ডিগ্রির নিচে ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯২ থেকে ৯৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১০১ মিলিমিটার।
দক্ষিণবঙ্গে আজ, বুধবার মেঘলা আকাশ। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বেলার দিকে পরিস্থিতির আরও একটু উন্নতি হবে। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সপ্তাহান্তে আবারও দুর্যোগের আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে শনি এবং রবিবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। উত্তরবঙ্গে আংশিক মেঘলা আকাশ। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। সপ্তাহান্তে বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে চার ঘণ্টায় কলকাতার মানিকতলায় ৩৪ মিলিমিটার, বেলগাছিয়ায় ৪৫ এবং পাতিপুকুরে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। জলে জমে যায় মহাত্মা গান্ধি রোড, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট-সহ একাধিক এলাকায়। মহাত্মা গান্ধ রোডে পাম্প চালিয়ে জল নামানোর চেষ্টা করা হয়। মঙ্গলবার ধাপায় ৪৫ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ৪৬ মিলিমিটার, ঠনঠনিয়ায় ৩৫ মিলিমিটার, গড়িয়ায় ৩১ মিলিমিটার এবং বেহালায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours