রাজ্যে চলছে বিধিনিষেধ। পাশাপাশি করোনা ঠেকাতে টিকাকরণে জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৫.২ কোটি নাগরিক টিকা পেয়েছেন। এবার স্বাস্থ্য দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কলেজ পড়ুয়া ও যে সমস্ত শিক্ষাকর্মীদের টিকাকরণ বাকি, তাঁদের দ্রুত টিকাকরণ সেরে ফেলতে হবে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় থেকেই রাজ্যের স্কুল-কলেজ বন্ধ। পঠনপাঠন চলছে অনলাইনে। রাজ্য সরকার চাইছে পুজোর পরই শিক্ষাঙ্গনগুলি সক্রিয় করার। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি বিচার করে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আর সেক্ষেত্রে প্রত্যেক পড়ুয়া এবং শিক্ষাকর্মীদের টিকাকরণ হওয়াটা জরুরি। অবশ্য রাজ্যের সমস্ত স্কুল শিক্ষকদের টিকাকরণের আওতায় আনা গিয়েছে বলে দাবি সরকারের। তবে, কলেজ পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ এখনও টিকাকরণের আওতার বাইরে। কলেজ খোলার আগে তাই কলেজ পড়ুয়াদেরও টিকা দিতে চায় স্বাস্থ্য দপ্তর।
আর সেজন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা দপ্তর যৌথভাবে এই কর্মসূচি পালন করবে। আর গোটা বিষয়টি তদারকি করবেন জেলাশাসক। তিনি ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবেন কোথায় কোভিড ভ্যাকসিন সেন্টার করা হলে পড়ুয়াদের সুবিধা হবে।
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গেই অধ্যাপক ও শিক্ষাকর্মীদেরও যাতে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যায় সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে। একটি ভ্যাকসিন সেন্টারে যাতে একদিন যথেষ্ট পরিমাণে টিকা নেওয়ার মতো উপভোক্তা থাকে তাও দেখতে হবে। সমস্ত দিক পর্যালোচনা করেই শিক্ষা দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই এই কাজ করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours