উপনির্বাচনের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধল বামেদের। পুলিশের সঙ্গে তীব্র বচসায় জড়ালেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চত্রবর্তী। গোসমালে জখম হলেন দু'জন বাম সমর্থক। শেষ পর্যন্ত পাঁচ জনকে যেতে দিতে পুলিশ রাজি হওয়ায় হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢুকে বাড়ি বাড়ি প্রচার করলেন সুজনবাবুরা।


মজুমদারকে পুলিশ ঢুকতে বাধা দেওয়ায় বিতর্ক বেধেছিল।

মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির রাস্তায় সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসকে প্রচার করার অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে শনিবার ই-মেল করে জানিয়েছিল পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন সিপিএম নেতারা। রিটার্নিং অফিসার তাঁদের জানান, বিধি মেনে প্রচার করা যেতে পারে। কিন্তু রবিবার প্রার্থীকে নিয়ে সুজনবাবু ওই রাস্তার মুখে যেতেই বাধা দেয় পুলিশ। তিনটি ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে সুজনবাবুর বচসা শুরু হতে ব্যারিকেড ফেলে দিয়ে গলির ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। উত্তেজনা, গোলমাল চলে বেশ কিছু ক্ষণ। প্রার্থী শ্রীজীবকেও ধাক্কা মারা হয় বলে অভিযোগ। গোলমালের পরে পাঁচ জনকে ওই রাস্তায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। পুলিশ সঙ্গে থেকে তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চত্বর পার করে দেয়। প্রার্থী, নির্বাচনী এজেন্টকে সঙ্গে নিয়ে বলরাম বসু ঘাট রোড এলাকায় প্রচার চালায় বামেরা। তণমূল কংগ্রেসের নেতা তাপস রায় অবশ্য কটাক্ষ করেছেন, ''সিপিএমের নয়, সুজনবাবু আত্মপ্রচার করতে গিয়েছিলেন! তাই হাই সিকিউরিটি জ়োনে ঢুকেছিলেন।''

সুজনবাবু বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুর কেন্দ্রের এক জন ভোটার। সেই হিসেবে তাঁর কাছে ভোট চাওয়ার অধিকারও আমাদের আছে। কিন্তু তাঁর বাড়িতে যাওয়ার, উত্‍পাত করার কোনও উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা আমাদের ছিল না। অহেতুক আমাদের বাধা দিয়ে গোলমাল পাকানো হল। পরে ওই রাস্তার অন্যান্য বাড়িতে প্রচার করেছি।'' পুলিশ সূত্রের অবশ্য বক্তব্য, বামেরা অনেক বেশি লোকজন নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেখান থেকেই সমস্যার শুরু। পরে তাঁদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব কমিশনে অভিযোগ করেছেন, ভবানীপুরে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা একেবারেই নিরপেক্ষ নয়। সন্ধ্যায় চেতলার অহীন্দ্র মঞ্চেও প্রচার-সভায় ছিলেন সুজনবাবু।

চেতলার অম্বেডকর কলোনিতে এ দিনই বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করছিলেন দলের প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। সেই সময় তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তৃণমূল নেতা তাপসবাবুর বক্তব্য, ''ওঁরা জানেন কী ফল হবে। সেই জন্যই কখনও পুলিশ, কখনও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলছেন।''
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours