গত রবিবারই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল নিয়েছে তালিবান। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত কাবুলে ১২ জনকে খুন করেছে তালিবানিরা। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। এরই পাশাপাশি ন্যাটো বাহিনীর এক আধিকারিক রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গত রবিবার থেকে এখনও পর্যন্ত কাবুল বিমানবন্দর থেকে ১৮ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে তালিবানরা। মার্কিন প্রশাসনকে বিশ্বের 'অহঙ্কারী শক্তি' বলে তকমা দিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করতে দেখা গিয়েছে তালিবান যোদ্ধাদের। গোটা আফগান মুলুকে হাড়হিম করা অত্যাচার চালাচ্ছে তালিবান। নির্বিচারে মানুষ খুন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, আফগানিস্তানে তালিবানিদের বাড়বাড়ন্তের পিছনে চিনের প্রত্যক্ষ্য মদত রয়েছে বলে শুরু থেকে অভিযোগ উঠছিল বিভিন্ন মহল থেকে। তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিনও সেই ধারণা স্পষ্ট করেছে। চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে তালিবান মুখপাত্র জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে শান্তি ও পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে চিন। আফগানিস্তানের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে চিনের এই তত্পরতাকে তালিবান স্বাগত জানাচ্ছে।
অন্যদিকে, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ভারত। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সই উদ্বেগ স্পষ্ট করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি-গোষ্ঠীগুলি এখন আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণ করছে। তাঁর মতে, ''আফগানিস্তানে যা ঘটছে তা আঞ্চলিকভাবে তো বটেই আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।'' তালিবানি দখলে গোটা আফগানিস্তান চলে যাওয়ার পর থেকেই সে দেশে হাক্কানি নেটওয়ার্কের তত্পরতা বাড়ছে। পাকিস্তানে থাকা লস্কর-এ-তইবা, জইশ-এ-মহম্মদ-এর মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি তাদের তত্পরতা আরও বাড়াচ্ছে। ভারত-সহ বাকি দেশগুলির কাছে যা অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মনে করেন বিদেশমন্ত্রী।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours