সরকারি হোম থেকে পাঁচিল টপকে পালিয়ে গিয়েছিল ৩ নাবালিকা। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। ফের ওই তিন নাবালিকাকেই উদ্ধার করল হোম কর্তৃপক্ষকে। কী কারণে পালিয়ে গিয়েছিল তারা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, পালাতে গিয়ে জখম হয়েছিল এক নাবালিকা। সে এখনও কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভরতি।
ঠিক কী হয়েছিল? শুক্রবার গভীররাতে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরের নগেন্দ্রনগরের সরকারি হোম থেকে পাঁচিল টপকে পালিয়ে যায় তিন। পালিয়ে যেতে সক্ষম ওই তিন নাবালিকার মধ্যে একজন বাংলাদেশি। বাকি দুই নাবালিকার বিয়ের বন্দোবস্ত করেছিল পরিবার। তবে তা রুখে দিয়ে ওই সরকারি হোমে রাখা হয়েছিল। হোম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তিনজনের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল আরও একজন নাবালিকাও। যদিও পাঁচিল টপকাতে না পেরে জখম হয় সে। ওই রাতেই বিষয়টি নজরে আসে নগেন্দ্রনগর সরকারি হোম কর্তৃপক্ষের। জখম অবস্থায় নাবালিকাকে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
সরকারি হোম থেকে তিন নাবালিকার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় হইচই শুরু হয়। হোমের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ওই নাবালিকারা কোথায় পালিয়ে গেল, সেই তদন্ত শুরু হয়। তবে শনিবার গভীর রাতে ওই নাবালিকাদের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে বসে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের তাদের আচরণে সন্দেহ হয়। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, তারা হোম থেকে পালিয়ে গিয়েছে। তারপরই হোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আপাতত হোম কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তাদের। তবে কী কারণে হোম ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নিল তারা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours