মসজিদে পড়তে যেত নাবালিকারা। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নাবালিকাদের উপর চলত যৌন হেনস্থা। ঘটনায় অভিযুক্ত মসজিদের ইমাম। অভিযুক্ত ইমামের নাম গিয়াসুদ্দিন শেখ। নির্যাতিতা নাবালিকাদের অভিভাবকরা কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে অভিযুক্ত ইমাম গিয়াসুদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে। ঘটনার অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে কালনা থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, পূর্ব বর্ধমানের কালনার উত্তর গোয়ারা মণ্ডল পাড়ার একটি মসজিদে নাবালিকাদের পড়ানোর দায়িত্বে ছিলেন অভিযুক্ত ইমাম গিয়াসুদ্দিন শেখ। আরবি ভাষা চর্চার জন্য মসজিদে যেতেন নাবালিকারা। অভিভাবকরাই নাবালিকাদের আরবি ভাষা শেখানোর জন্য মসজিদে পাঠাতেন। কিন্তু পড়ানোর অছিলায় নাবালিকাদের যৌন নির্যাতন করতেন অভিযুক্ত ইমাম। মসজিদে অনেক ছেলেরাও ওই ইমামের কাছে আরবি ভাষা পড়তে যেত। ক্লাস হয়ে গেলে ছেলেরা বেরিয়ে যাওয়ার পর নাবালিকাদের আটকে রেখে চলত যৌন হেনস্থা। অশালীন আচরণ করত ওই অভিযুক্ত ইমাম, এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতা নাবালিকাদের।
মোট ৭ জন নাবালিকার উপর ওই অভিযুক্ত ইমাম নির্যাতন চালিয়েছিলেন। গত কয়েক মাস ধরেই চলছিল এই ঘটনা। প্রথম দিকে ভয়ে নাবালিকারা বাড়িতে কিছুই জানায়নি। গত বৃহস্পতিবার এক নাবালিকা বাড়িতে ফিরে মা-বাবার কাছে গোটা ঘটনা খুলে বলেন।
এই ঘটনার কথা চাউর হতেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় গোয়ারা মণ্ডল পাড়ায়। মসজিদ কমিটি থেকে অভিযুক্ত ইমামকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দারস্থ হয় নির্যাতিতার অভিভাবকরা। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours