সমুদ্রের গর্ভে তলিয়ে যাবে ভারতের ১২টি শহর। চাঞ্চল্য কর রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপকূলবর্তী শহর। আইপিসিিস রিপোর্টে এই ভয়ঙ্কর দিনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পৃথিবীর তাপ বাড়ছে। যার জেরে হিমবাহগুলি গলতে শুরু করেছে আন্টার্কটিকায়। আর বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর। সেকারণেই উপকূলবর্তী একাধিক শহর সমুদ্রের গর্ভে তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।


প্রকৃতির রোষ বাড়ছে। মানব সভ্যতার আগ্রাসী উন্নয়নে ভীষণ ভাবে রুষ্ট প্রকৃতি। তার কোপ পড়তে শুরু করেছে। আইপিসিসি যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই ঘুম উড়েছে বিজ্ঞানীদের। চারিদিকে ধ্বংসের পূর্বাভাস দিয়েছে আইপিসিসির রিপোর্ট। প্রকাশ্যে এসেেছ একাধিক তথ্য তাতে জানানো হয়েছে পৃিথবীর উত্তাপ বাড়ছে। সেই উত্তাপ বৃদ্ধি সীমা ছাড়িয়ে এগোতে শুরু করেছে। পৃথিবীর উত্তাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সমুদ্রের উষ্ণতাও। আর এই সমুদ্রের উষ্ণতা বৃদ্ধি মানব জাতিকে ক্রমশ ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। তাঁরা এই নিয়ে সতর্ক করেছেন সকলকে। একের পর এত বড় বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় এই ভয়ঙ্কর ভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণেই তৈরি হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

তলিয়ে যাবে ১২টি শহর



সমুদ্রের জলের উত্তাপ বৃদ্ধির কারণে বরফ গলতে শুরু করেছে আন্টার্কটিকার হিমবাহ গলতে শুরু করেছে। যার কারণে সমুদ্রের জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা ভারতের জন্য আরও দুঃসংবাদ শুনিয়েছেন। গবেষকরা জানিয়েছেন ভারতের ১২টি শহরের উপর ঘনাচ্ছে বড় বিপদ। শতাব্দির শেষে হয়তো এই ১২িট শহর সমুদ্রের গর্ভে তলিয়ে যাবে। সেই তালিকায় রয়েছে মুম্বই, চেন্নাই, কোচি, বিশাখাপত্তনম, ওখা, কলকাতার খিদিরপুর, পারাদ্বীপ, ম্যাঙ্কালোর, তুতিকোরিন, মোরমোগাঁও, ভৌনগর, কান্ডলা। এই জায়গা গুলির অধিকাংশটাই জলের তলায় চলে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই সেই জায়গায় গুলিতে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে সমুদ্রের। অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে মুম্বই- কলকাতার মতো শহরগুলি। সেই জল যেেত দীর্ঘ সময় লাগতে শুরু করেছে। তার অন্যতম কারণ এই সমুদ্রের জলবৃদ্ধি।

দ্রুত বদলাচ্ছে আবহাওয়া





গবেষকরা জানিয়েছেন আগে ১০০ বছর অন্তর জলবায়ু পরিবর্তন দেখা যেত কিন্তু এখন সেই সময় ক্রমশ কমতে কমতে এখন ৭থেকে ৮ বছর অন্তরই জলবায়ু পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে। ২০৫০ সালেই তা ভয়ানক আকার নিতে চলেছে। ২১ শতকে সমুদ্রের জলস্তর লাগাতার বৃদ্ধি হয়ে চলেছে। যার জেরে উপকূলবর্তী শহরগুলিতে ভীষণ সংকট দেখা দিচ্ছে। গত কয়েক মাসে একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে। মুম্বই, কলকাতা, ওড়িশাকে। আয়লা, ফনী, ইয়াস, আম্ফানের মতো বড় বড় ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়তে হয়েছে ভারতরে। যে সব ঝড়ের তীব্রতা ছিল ভয়ঙ্কর। ভয়ঙ্কর তাদের গতি। ১৭০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার বেগে বয়েছে ঝড়। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি, ঘর, গাছপালা। বিপুল সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। এই ধরনের বিধ্বংসী ঝড়ের মুখে আগে কখনও পড়তে হয়নি ভারতকে। শুধু ঘূর্ণিঝড় নয়। টর্নেগো দেখা দিয়েছে কলকাতায়। যা এক প্রকার অসম্ভব প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে মনে করা হচ্ছে । কারণ এশিয়ার কোনও জায়গায় টর্নেটোর দেখা মেলেনা।

বাড়ছে জলস্তর




আইপিসিসির রিপোর্ট বলছে সমুদ্রের জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। বছরে প্রায় ৩.৭ মিলিমিটার করে বাড়ছে সমুদ্রের উচ্চতা। হিন্দুকুশ হিমালয় রিজিওন ক্রমশ ডুবতে শুরু করেছে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে চলেছি আমরা। সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিমবাহ গলতে শুরু করা। আন্টার্কটিকার বরফ গলছে। চরম থেকে চরমতর হচ্ছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এর আরও একটি বড় কারণ সমুদ্রের জলের উত্তাপ বৃদ্ধি। সমুদ্রের জলের উত্তাপ বৃদ্ধির কারণে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ভারত মহাসাহরে। জলীয়বাষ্মের উত্‍পাদন বাড়ছে যার জেরে সমুদ্রের উপর একের পর এক ভয়াবহ ঘূর্ণিবর্ত তৈরি হচ্ছে। সেগুলি ভীষণ গতিতে ধেয়ে আসছে ভূখণ্ডের দিকে। ভারত মহাসাগরে এইধরনের ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের উত্‍পাদন বেশি মাত্রায় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিদরা।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours