নিজের স্ত্রীকে ধারার অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন, পলাতক অভিযুক্ত স্বামী
ক্ষতিপূরণ চাই না, স্থায়ী BSF ক্যাম্প চাই’, তৃণমূলের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন জাফরাবাদে মৃত চন্দনের দিদি
মুখ দেখাদেখিও বন্ধ ছিল, ২০ বছর পর ‘ভাব’ হচ্ছে উদ্ধব ও রাজ ঠাকরের? মহারাষ্ট্রে রাজনীতিতে জোর জল্পনা
গদি নিয়ে এত ভয় ইউনূসের! হাসিনার বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপের আর্জি ঢাকার
মাতৃভূমি লোকাল নিয়ে নেওয়া হল সিদ্ধান্ত, খুব শীঘ্রই আসছে বড় পরিবর্তন
বৃষ্টির দিনে বাঙালির পাতে খিচুড়ি-ইলিশ থাকবে না , তা কি হয় ? বর্ষার মরশুমে ভালো ইলিশ পাওয়া যায় , তাই হয়তো খিচুড়ির সাথে ইলিশ এক অনবদ্য সংযোজন। তবে প্রাচীন গ্রাম বাংলায় বর্ষা কালে জ্বালানি কাঠ পর্যাপ্ত পরিমানে না থাকায় মানুষ চাল ও ডাল একই সাথে রান্না করতেন। বিশেষ করে বাউল সম্প্রদায়ের কাছে এই খিচুড়ি অন্যতম একটি খাদ্য ছিল। গান গেয়ে গৃহস্থের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা চালডাল তাঁরা রান্না করতেন একত্রে। এই খিচুড়িকে কেন্দ্র করে রয়েছে নানান মজাদার ঐতিহাসিক ঘটনা।
কাহিনি ১ : ঐতিহাসিক লেখনি
আলেকজান্ডারের সেনাপতি সেলুকাসের লেখনীতে খিচুড়ির উল্লেখ রয়েছে। সেলুকাসের বক্তব্য অনুযায়ী এই বিশেষ খাদ্যটি সাউথ এশিয়ায় বেশি জনপ্রিয় ছিল। ১৩৫০ সালে ইমন বতুতার ভ্রমণ কথাতেও চাল এবং ডালের মিশ্রণে তৈরি খিশ্রীর কথা পাওয়া যায়।
কাহিনি ২ : খিচুড়ি যখন কেডজি
কেডজি মূলত ব্রিটিশ আমলের সংস্করণ। যা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত ধরে ভারতে পৌঁছায়। অ্যাংলো ইন্ডিয়ানরা সাধারণত রাতের উদ্বৃত্ত খাবারের সংমিশ্রণ পরদিন সকালে সুস্বাদু করে রান্না করতেন। যা কেডজি নামে পরিচিত ছিল।
কাহিনি ৩ : কুশারি
খিচুড়ির অন্যতম একটি রূপ ছিল কুশারি। কুশারি জনপ্রিয় ছিল উনিশ শতকের নিম্নবিত্ত ইজিপশিয়ানদের মধ্যে। এই খাদ্যটি সৈন্য শিবিরে স্থান পেয়েছিল। কুশারি সাধারণত বানানো হতো আদা রসুন পিঁয়াজের সাথে চাল ডাল টমেটো সস এবং ভিনিগার দিয়ে।
কাহিনি ৪ : ভুট্টার খিচুড়ি
আবুল ফজলের লেখা আইন-ই-আকবরীতে তিন ধরনের শাহী খাদ্যের পাশাপাশি সাত রকমের খিচুড়ির নাম পাওয়া যায় । স্বয়ং হুমায়ুন যখন পারস্যে ছিলেন সেখানে হেঁসেলে তৈরি হতো খিচুড়ি । এছাড়াও আকবরের সময়ে বীরবলের গল্পে খিচুড়ির কাহিনি পাওয়া যায় । জাহাঙ্গীরের রন্ধনশালায় স্থান পেয়েছিল গুজরাটের ভুট্টার খিচুড়ি।
কাহিনি ৫ : শাহজাহানী খিচুড়ি
প্রচলিত একটি ইতিহাস কাহিনি রয়েছে। যোধপুরের রাও জোধাকে মেবারের রানা কুম্ভ উত্খাত করেছিলেন চিতোর থেকে। রাও জোধা বাধ্য হয়ে ছদ্মবেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন এক কৃষকের বাড়িতে। সেখানে তাঁকে আহারে জন্য দেওয়া হয় খিচুড়ি। রাও প্রথমে গরম খিচুড়ি মধ্যে হাত দিয়ে দেন এবং তাঁর হাত পুড়ে যায়। তখন কৃষক গৃহিণী বলেছিলেন খিচুড়ির পাত্রের মাঝখানটা সবচেয়ে বেশি গরম থাকে আর ধারগুলো ঠান্ডা। তাই খিচুড়ি খেতে শুরু করতে হয় ধার থেকে। এই কথায় রাও জোধার মাথায় আসে অন্য এক কুটনৈতিক বুদ্ধি। তিনি সরাসরি চিতোর আক্রমণ না করে চারিপাশের দুর্গ গুলি জয় করে অবশেষে ফিরে পান নিজের রাজত্ব।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours