করোনা কালে অনেক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। করোনা সংক্রমণের ভয় নিয়েই নির্ভিক হয়ে খবর সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তাঁর পরিবারকে সাহায্য এগিয়ে এসেছে মোদী সরকার। ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার ঘোষণা করেছেন ১০১ জন করোনায় মৃত সাংবাদিকের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের জন্য ৫.০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদী সরকার।
করোনায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল গোটা দেশে। লকডাইন থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্ভোগ। একাধিক খবর গোটা দেশের ঘরবন্দি মানুষের কাছে তুলে এনেছিলেন সাংবাদিকরা। করোনা সংক্রমণের ভয় নিয়েই নির্ভিক ভাবে কাজ করে গিয়েছেন তাঁরা।এখনও কাজ করে চলেছেন।এমনকী করোনা রোগীদের সুচিকিত্সা হচ্ছে কিনা সেটার খবরও তারা দিয়েছেন।তার জন্য সংক্রামিত রোগীদের ওয়ার্ডেও ঢুকতে হয়েছিল তাঁদের। চিকিত্সকদের মতই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা আবহে কাজ করেছেন তাঁরা।
করোনা সংক্রমণের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে একাধিক সাংবাদিকের মত্যু হয়েছে। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে একাধিক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণে। অন্যান্য রাজ্যেও সেই সংখ্যা কম নয়। অনেকেই সেকথা জানেন না। বা প্রকাশ্যে আসে না সেসব ঘটনা। তাঁদের পরিবারকেও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে। অনেক পরিবারেই একজন রোজগেরে ছিলেন তাঁদের অবস্থা আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোয় আবেদনের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১০১ জন করোনায় মৃত সাংবাদিকের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীন পাওয়ার জানিয়েছেন, ১০১জন করোনায় মৃত পরিবারের ৫ লক্ষ টাকা করে সাহায্য করা হবে। অর্থাত্ প্রতি পরিবার ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাবেন। তার জন্য মোদী সরকার মোট ৫.০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের নজরদারিতে এই টাকা বণ্টন করা হবে সেই পরিবারগুলিকে। জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার স্কিমের আওতায় সেই টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে মোদী সরকারকে তীব্র নিশানা করেছেন বিরোধীরা। করোনার সেকেন্ড ওয়েভে একজনেরও অক্সিজেেনর অভাবে মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাই নিয়ে সোচ্চার হয় রাজনৈতিক মহল। সাংবাদিকদের সত্য প্রকাশের জন্য বলেছিলেন বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতারা। তারপরেই ঢোক গিলে সব রাজ্যের কাছে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর তথ্যতলব করে মোদী সরকার।
অন্যদিকে আবার পেগাসাস নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে এডিটস িগল্ড। ইজরায়েলি স্পাইওয়ার ব্যাবহার করে একাধিক সাংবাদিকের ফোনে আড়িপাতা হয়েেছ বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা পরেই মোদী সরকারের সাংবাদিকদের এই আর্থিক সাহায্যের টাকা মঞ্জুর তরা অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours