কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: দুনিয়া জোড়া মাদক সাম্রাজ্যে এই মারিজুয়ানার (Green kind of Cannabis) কদর সবথেকে বেশি। এর মত 'কিক' অন্য কোনও গাঁজায় পাওয়া যায় না। এর চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে কলকাতার নেশারু সমাজে। এই খবর বেশ কিছুদিন ধরেই আসছিল নারকটিকস (NCB)-এর কলকাতা জোনের কাছে। তক্কে তক্কে ছিলেন গোয়েন্দারা। শেষ পর্যন্ত টানা তিনদিনের লম্বা অভিযান চালিয়ে ৪২টি পার্সেল উদ্ধার করল নারকটিকস। তাতে ঠাসা কুড়ি কেজির মত মারিজুয়ানা।
চমকে দেওয়ার মতো তথ্য, এগুলির সবক'টি এসেছে ক্যালিফোর্নিয়া এবং কানাডা থেকে। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পার্সেল ঢুকেছে এদেশে। এই মাদক অর্ডার করা হয়েছিল ইন্টারনেটে 'ডার্ক ওয়েব'-এর মাধ্যমে।
আরেকটি চমকপ্রদ তথ্য নারকটিকস সামনে নিয়ে এসেছে। মাদক পাচার চক্রের মূল মস্তিষ্ক একজন বছর পঁচিশের মহিলা। তার নাম শ্রদ্ধা সুরানা। সিমরান সিং নামে ভাড়িয়ে সে এই চক্র চালাচ্ছিল। সিমরানের নামে সে একটি আধার কার্ডও বানিয়ে ফেলেছে ব্যবসার খাতিরে। একই সঙ্গে তরীনা ভাটনাগর (২৬) নামে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে নারকটিকস। সে টেলিভেন্ট নামে ইন্টারনেটের একটি প্লাটফর্ম ব্যবহার করে তিনটি পার্সেল অর্ডার করেছিল। একটি তার নিজের নামে, বাদবাকি দু'টি তার দুই বন্ধুর নামে। এর পাশাপাশি করণকুমার গুপ্তা (৩০)নামে এক ডেলিভারি বয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে শ্রদ্ধা সুরানার নির্দেশ মত অর্ডার অনুযায়ী কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে মাদক পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে।মোট ৪২ টি পার্সেল আমেরিকা থেকে কলকাতায় ঢুকেছে। সবকটি পার্সেল ইউনাইটেড স্টেটস পোস্টাল সার্ভিসের ছাপ রয়েছে বলে জানিয়েছে নারকটিকস ডিপার্টমেন্ট। অন্যান্য মারিজুয়ানার তুলনায় এটির দাম অনেক গুণ বেশি। এই কুড়ি কেজি উচ্চমানের মারিজুয়ানার দাম কালো মার্কেটে কত তা খতিয়ে দেখছে নারকটিকস-এর মাদক বিশেষজ্ঞরা। এই চক্রে আরও কারা কারা জড়িয়ে তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ধৃত তিনজনকে। তাদের কাছ থেকে আরও অনেক সূত্র উঠে আসবে বলে আশাবাদী গোয়েন্দারা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours