উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা হল হাইকোর্টে। সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের "অনিয়মে" তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা সুব্রত মণ্ডল। সিবিআই বা সিআইডি অফিসারদের নিয়ে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম(SIT) গড়ে তদন্তের আবেদন করা হয়েছে মামলায়। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলা বিচারাধীন এখন।
নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানোর পাশাপাশি চূড়ান্ত নিয়োগ তালিকাও প্রস্তুত করে রাখা যাবে। তবে হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া কোনও নিয়োগ করা যাবেনা বলে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
ডিভিশন বেঞ্চেই কমিশনের হয়ে সওয়াল করে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, ৩৫৪ ক্যাটাগরিতে ১৪৩৩৯ শূন্যপদে নিয়োগ হবে। ১৯ জুলাই পর্যন্ত কমিশন ইন্টারভিউ তালিকায় অনিয়ম অভিযোগ পেয়েছে ৮৫০০। অন্যদিকে সব অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে অতিরিক্ত আধিকারিক চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
তবে কি দুর্নীতির দায়ে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে হবে এবার সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে? সেকথা এখনই বলার সময় না হলেও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মামলাকারী আইনজীবী শুভ্রাংশু পণ্ডার উদ্দেশ্য 'নিউজ ১৮ বাংলা'র প্রশ্ন ছিল, সার্ভিস সংক্রান্ত মামলায় জনস্বার্থ মামলা হয় না হাইকোর্টে, সেক্ষেত্রে এই মামলার গুরুত্ব কতটা রয়েছে। প্রশ্নের উত্তরে শুভ্রাংশু পণ্ডা জানান, "প্রথমবারের জন্য উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়, রায়ে তা স্পষ্ট জানান বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ২০২০-র ডিসেম্বরে। এরপর দ্বিতীয়বার নিয়োগ প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু হলেও একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কোনও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে তা জনস্বার্থ মামলায় বিবেচ্য হতেই পারে। আমরা আদালতে যথোপযুক্ত প্রমাণ তুলে দেবো।"
কমিশনের কাছে পোর্টাল চালুর আবেদন জানানো হয়েছে মামলায়, সার্ভার আনলক করে সকল চাকরীপ্রার্থীদের ডেটাবেস ব্যবহার করার অনুমতিও চাওয়া হয়েছে। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম, গোপা বিশ্বাসরা জানান, "একই কমিশন একই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বারবার ভুল কীভাবে করে? ইন্টারভিউ তালিকায় অনিয়মে অভিযোগ এনে মামলা করি বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বেঞ্চে। মার্কস সহ নম্বর প্রকাশ হতেই অনেক অনিয়ম সামনে এসেছে।"
Post A Comment:
0 comments so far,add yours