স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃণালনগর এলাকার সাহাপাড়ার বাসিন্দা ওই কিশোরী স্থানীয় রাখাল বিদ্যামন্দিরে পড়ত। এ বছরই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সে। দুই ভাই-বোনের মধ্যে সে ছিল বড়। স্কুলে মেধাবী ছাত্রী হিসেবেই পরিচিত ছিল সে। কিন্তু দু'বছর আগে প্রতিবেশী যুবক বাপ্পা বারিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। বাড়িতে কিছু না বলে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল।
পরে পরিবারের লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হোমে রেখেছিল। গত বছরই তাঁকে হোম থেকে বাড়িতে ফেরানো হয়। প্রেমের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে স্কুলেও ভর্তি হয় ওই ছাত্রী। কিন্তু নতুন করে প্রতিবেশী যুবক বাপ্পা ছাত্রীকে সম্পর্ক রাখার জন্য চাপ দিতে থাকে বলে অভিযোগ। কিন্তু রাজি হয়নি ছাত্রী। এরপর ওই ছাত্রীর নামে ফেসবুকে একটি ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি পোস্ট করে বাপ্পা।


পরিবারের অভিযোগ, সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই অপমানে আত্মঘাতী হয় ছাত্রী। এর পর রবিবার রাতে বাড়ির পাশের একটি গাছে গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে সে। বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্‍সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। সোমবার মৃতদেহটির ময়নাতদন্ত হয় কাকদ্বীপ হাসপাতাল মর্গে। মৃতের পরিবারের লোকজন থানায় প্রেমিক বাপ্পা বারিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক বর্তমানে ভিন রাজ্যে কর্মরত। এই ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা এবং তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours